ট্রাম্পের ঘোষণার পর হঠাৎই ঘুরে দাঁড়াল রুশ অর্থনীতি

রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম। নাহলে আসবে ‘খুব কঠোর শুল্ক’। হোয়াইট হাউজ থেকে এমন হুঁশিয়ারি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এই ঘোষণার পর হঠাৎই ঘুরে দাঁড়াল রুশ অর্থনীতি। রুবলের মূল্য বাড়ল, মস্কোর শেয়ারবাজার চাঙ্গা হলো।

রাশিয়ার রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প যতটা কঠোর হবেন বলে বাজার ভাবছিল, বাস্তবে ততটা হননি। ফলে আপাতত স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে মস্কো। তবে যুদ্ধ এবং শান্তির মধ্যেকার উত্তেজনা আবারও নতুন রূপে সামনে এসেছে। তবে ট্রাম্পের এমন ঘোষণা আসার পরও রাশিয়ার অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে ওঠে। মস্কো স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ারের দাম গড়ে ২.৭ শতাংশ বেড়ে যায়, আর রাশিয়ান রুবলও ডলারের বিপরীতে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়।

বিশ্লেষকরা বলেন, ট্রাম্পের কণ্ঠে কড়াকড়ি থাকলেও বাস্তবে সময়সীমা দিয়ে আলোচনার সুযোগ রেখেছেন তিনি। মস্কোভস্কি কমসোমোলেটস পত্রিকা তাদের সম্পাদকীয়তে জানায়, ট্রাম্পের ঘোষণা ‘সুখকর’ না হলেও রাশিয়ার জন্য তা সম্পূর্ণ অস্বস্তিরও নয়। কারণ, এতে আলোচনার নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র ‘সর্বোচ্চ মূল্যের অস্ত্র’ পাঠাবে এবং ৫০ দিনের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে চুক্তি না হলে রাশিয়ার ওপর শুল্ক কার্যকর করা হবে। নতুন করে অস্ত্র সরবরাহ এবং নিষেধাজ্ঞার হুমকি সত্ত্বেও মস্কো আত্মবিশ্বাসী। তাদের মতে, যুদ্ধক্ষেত্রে এখনো তারা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে এবং আলোচনা চলাকালীন সময়ই কৌশলগত।

হোয়াইট হাউজে ফেরার পর থেকেই ইউক্রেন যুদ্ধ থামানো ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতির অগ্রাধিকারে রয়েছে। তবে এই যুদ্ধের পেছনে ন্যাটো ও ‘সমষ্টিগত পশ্চিমা’র ভূমিকাই প্রধান বলে মস্কোর দাবি। যদিও ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়াই ইউক্রেনে আক্রমণ চালিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী ইউরোপের সবচেয়ে বড় স্থলযুদ্ধের সূচনা করেছিল। নতুন করে সংঘাতের ইঙ্গিতে কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়লেও অর্থনৈতিকভাবে রাশিয়া সাময়িক স্বস্তিতে আছে বলেই মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।

টিকে/

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দুর্নীতির মামলায় স্ত্রীসহ ছাগলকাণ্ডের মতিউর রহমান রিমান্ডে Sep 14, 2025
img
আমি শিবের ভক্ত, বিষ গিলে ফেলব: মোদি Sep 14, 2025
img
রাকসুর ভোট গণনা ওএমআর মেশিনেই হবে: প্রধান নির্বাচন কমিশনার Sep 14, 2025
img
ভারতের বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে নামতে পারে পাকিস্তান Sep 14, 2025
img
ভারতের টপ অর্ডার দ্রুত আউট করাই জয়ের চাবিকাঠি: মালিক Sep 14, 2025
img
বাজে হারে হতাশ হলেও সুপার ফোরের আশা রাখছেন নান্নু Sep 14, 2025
img
ইনু-হানিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা ২৮ সেপ্টেম্বর Sep 14, 2025
img

সাগর-রুনি হত্যা

১২১ বারের মতো পেছালো তদন্ত প্রতিবেদন Sep 14, 2025
img
শহীদ মিনারে ফরিদা পারভীনকে শেষ শ্রদ্ধা Sep 14, 2025
img
বিক্ষোভ-সহিংসতায় নেপালের পর্যটন খাতে ২৫০০ কোটি রুপির ক্ষতি Sep 14, 2025
img
৩৩ বছর পর নতুন নেতৃত্ব, শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের ক্যাম্পাস গড়াতে চান ভিপি-জিএস Sep 14, 2025
img
সাংবাদিক পরিচয়ে থাকা মৌলভীবাজারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার Sep 14, 2025
img
রজনীকান্তের সিনেমায় আমিরের অভিনয় নিয়ে বিতর্ক Sep 14, 2025
img
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে সচিবালয়-যমুনা ঘেরাও Sep 14, 2025
img
জুলাইয়ের শহীদ পরিবারের বরাদ্দ অর্থ এক বছরেও হস্তান্তর হয়নি: শিবির সেক্রেটারি সাদ্দাম Sep 14, 2025
img
ঢামেকে একসঙ্গে ৬ সন্তানের জন্ম দিলেন নারী Sep 14, 2025
img
চাকসুর নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, নতুন করে যুক্ত হয়েছে ১৭৬৮ Sep 14, 2025
ছাত্রদল কি পাশে ছিল না আবিদের? Sep 14, 2025
img
নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Sep 14, 2025
খাবারে বরকত পাওয়ার উপায় Sep 14, 2025