রাজধানীর সূত্রাপুর কাগজিটোলায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ পাঁচজনের মধ্যে সহোদর রোকন (১৪) ও তামিম (১৮) মারা গেছে। এ নিয়ে ঘটনাটিতে মারা গেল তিনজন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন মারা যায় রোকন আর বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে মারা যায় তামিম। এর আগে সোমবার রাতে মারা গেছে তাদের বোন আয়েশা (দেড় বছর)।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি জানান, রোকনের শরীরের ৬০ শতাংশ আর তামিমের ৪২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বর্তমানে তাদের বাবা রিপন ৬০ শতাংশ ও মা চাঁদনী ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়ে ভর্তি আছেন। তাদের শ্বাসনালীও দগ্ধ। তাদের অবস্থাও আশংকাজনক।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সূত্রাপুর কাগজিটোলা এলাকায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন, ভ্যানচালক রিপন (৪০), তার স্ত্রী চাঁদনী (৩৫), ছেলে তামীম (১৮), রোকন (১৪) ও মেয়ে আয়শা (দেড় বছর)।
দগ্ধ রিপনের মামা জাকির হোসেন জানান, সূত্রাপুর কাগজিটোলা সাঈদ চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশের একটি পাঁচতলা বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকে ওই পরিবারটি। ওই রাতে সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ করেই বাসায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তারা আগুনে পুড়ে যায়। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাড়িটির আসবাবপত্রও। পরবর্তীতে আশপাশের ভাড়াটিয়ারা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে বাসায় গ্যাস লিকেজের কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে। তাদের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলায়।
এমকে/এসএন