বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে জামায়াত সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলায় গুরুতর আহত কক্সবাজার ভারুয়াখালী ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা সাকিব উদ্দিন অভির পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বুধবার (১৬ জুলাই) তারেক রহমানের নির্দেশে আহত অভিকে দেখতে চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে আসেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
প্রতিনিধি দলে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, যুবদলের সাবেক সহসভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি আবু আফসান মো. ইয়াহিয়া, রাজু, আশিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এসময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ৫ আগস্টের পর কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচন বিলম্বিত করতে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।
তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সর্বত্র নৈরাজ্য সৃষ্টি করে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ১৬ বছরের দীর্ঘ আন্দোলন ও ত্যাগকে ম্লান করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। তবে দেশের জনগণ জানে, এ ধরনের অপশক্তিকে কীভাবে প্রতিহত করতে হয়।
তিনি অভির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলেন, তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে কিডনি ফেইলিউর হয়েছে, যার জন্য চিকিৎসা চলমান। অভির অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক।
এসময় তিনি আরো বলেন, কক্সবাজার ও চকবাজারের ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূলহোতাদের এখনো কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তাদের মদদদাতাদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে নতুবা এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতেই থাকবে।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, ৫ আগস্টের বিজয়ের পর জামায়াত শুধু বিভাজনের রাজনীতি করছে না, বরং প্রতিটি অঙ্গনে সন্ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করছে। তাদের অঙ্গসংগঠন ছাত্রশিবির শিক্ষাঙ্গনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করছে।
প্রতিনিধি দলটি অভির চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। এ ছাড়া অভির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে চিকিৎসার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। ঘটনার পর থেকেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলামের মাধ্যমে আহতদের সার্বক্ষণিক খোঁজ নিচ্ছেন।
আরআর