বিহারের পাটনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে গ্যাংস্টার চন্দন মিশ্রকে (ওরফে চন্দন সিং) গুলি করে খুন করার ভয়ংকর দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকালে এ ঘটনা ঘটে পাটনার পারস হাসপাতালে। ফুটেজে দেখা যায়, পাঁচ সশস্ত্র ব্যক্তি করিডর ধরে হেঁটে এসে ২০৯ নম্বর কক্ষে ঢুকে পড়ে, যেখানে চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে ভর্তি ছিলেন চন্দন মিশ্র।
সিসিটিভি ফুটেজে আরো দেখা যায়, হামলাকারীরা শার্টের নিচ থেকে পিস্তল বের করে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ২০৯ নম্বর কক্ষে ঢুকে গুলি চালিয়ে বেরিয়ে আসে।
তাদের একজন পিস্তল বের করতে গিয়ে কিছুটা হিমশিম খেলেও পরে কক্ষে ঢুকে পড়ে। চারজনকে দৌড়ে বেরিয়ে আসতে দেখা গেলেও, একজন শেষ পর্যন্ত ধীরে ধীরে হাসপাতালটির কক্ষ থেকে বেরিয়ে যায়।
চন্দন মিশ্র গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিওর সত্যতা নিশ্চিত করেছে হিন্দুস্তান টাইমস।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যার মধ্যেই এক হামলাকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং একজনকে গ্রেপ্তার করার খবরও এসেছে। পাটনা সেন্ট্রাল রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনারেল জিতেন্দ্র রানা বলেন, ‘এই ঘটনায় পুলিশি নিরাপত্তা লঙ্ঘন হয়েছে কি না, তা-ও আমরা তদন্ত করে দেখছি।’
২০১৪ সালে কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া চন্দন মিশ্র বিহারের বক্সার জেলার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে খুন, ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে ২০টিরও বেশি মামলা ছিল।
আন্তঃরাজ্যের ডাকাত সন্তোষ সিংয়ের সঙ্গেও তার যোগ ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তিনি ২০১১ সালে ব্যবসায়ী রাজেন্দ্র কেশরী হত্যার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন। প্রথমে ট্রায়াল কোর্ট তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়, পরে ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পাটনা হাইকোর্ট তা পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করে। সম্প্রতি তাকে চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি দিয়ে পাটনার বেউর জেল থেকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। প্যারোলের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৮ জুলাই।
এসএন