প্রথম একা বিমান চালাতে যেয়ে যান্ত্রিক ত্রুটিতে বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারালেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম। ২১ জুলাই দিনটিকে স্বপ্নপূরণের দিন ভাবলেও, দুপুরের পরই তা রূপ নেয় বিষাদে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় বৈমানিকসহ নিহত ও আহত হয়েছেন অনেকে।
বিমান বাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর জানায়, ‘এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়নের পর যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়। বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলাম বিমানটিকে জনবহুল এলাকা থেকে দূরে নেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের দোতলা একটি ভবনে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত হয়েছে।’
আইএসপিআর আরও জানিয়েছে, আহত সবাইকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারসহ অ্যাম্বুলেন্সের সহায়তায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল এবং নিকটস্থ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য দ্রুত স্থানান্তর করা হচ্ছে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনী গভীরভাবে মর্মাহত এবং হতাহতদের সর্বাত্মক চিকিৎসাসহ সার্বিক সহযোগিতায় তৎপর রয়েছে।
বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের ধারণা ছিল, তৌকির চিকিৎসাধীন। তাঁরা বিমানবাহিনীর সহায়তায় হেলিকপ্টারে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন বিকেল সাড়ে চারটায়, ততক্ষণে তৌকির ইসলামের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে।
তৌকির ইসলামের মৃত্যুর খবরের পর বিকেলে রাজশাহী নগরের উপশহর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনে সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ ভিড় করছেন। সবাই স্বজনদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। এখনো বাসায় তৌকির ইসলামের নানা, নানি ও খালা রয়েছেন। কিছুক্ষণ পরপর কান্নার রোল ভেতর থেকে ভেসে আসছে। মামা মোতাকাব্বির বাইরে দাঁড়িয়ে কৌতূহলী মানুষ ও সাংবাদিকদের পরিবারের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করছেন।
টিকে/