শান্তি আলোচনায় কোনো চমক আশা করার কারণ নেই: রাশিয়া

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আসন্ন শান্তি আলোচনায় ‘অলৌকিক’ বা ‘চমকপ্রদ’ কোনো ফলাফল আসবে, এমনটা আশা করার কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছে রাশিয়া। এদিকে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়ার হামলায় এক শিশু নিহত এবং ২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আলোচনায় অলৌকিক কিছু ঘটবে- এমনটা আশার করার কোনো কারণ আমাদের সামনে নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং শুরু থেকেই যে লক্ষ্যগুলো নির্ধারণ করেছি, সেগুলো পূরণ করাই আমাদের উদ্দেশ্য।’

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত একাধিকবার আলোচনা হলেও বড় কোনো অগ্রগতি হয়নি। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়েই নিজ নিজ অবস্থানে অনড় থাকায় সমঝোতায় পৌঁছানো জটিল হয়ে উঠেছে।

যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার উপর আলোচনার জন্য ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করছেন। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দাবিতে অনড় থাকায় আলোচনায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।

তবে উভয় পক্ষ খুব শিগগিরই আরেক দফা আলোচনায় বসতে যাচ্ছে। গত সোমবার (২১ জুলাই) নিয়মিত ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, রাশিয়ার সঙ্গে নতুন করে আরেক দফা শান্তি আলোচনায় বসছে তার দেশ। বুধবার (২৩ জুলাই) তুরস্কে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আলোচকরা তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধের অবসানে অগ্রগতি অর্জন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আলোচনার ফলে যুদ্ধবন্দি এবং নিহত সেনাদের মৃতদেহ বিনিময়ের ধারাবাহিকতা তৈরি হয়। কিন্তু যুদ্ধবিরতির কোনো অগ্রগতি হয়নি।

এদিকে আলোচনায় অংশ নিতে এরই মধ্যে প্রতিনিধি দল গঠন ঘোষণা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবার এক ঘোষণায় তিনি জানান, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সচিব রুস্তেম উমেরভ ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।

আলোচনার সম্ভাব্য বিষয়গুলোও তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন ‘আমাদের জনগণের বন্দিদশা থেকে মুক্তি এবং অপহৃত শিশুদের ফিরিয়ে আনা, হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা এবং নেতাদের একটি বৈঠকের অংশ’ নিতে প্রস্তুত।

এফপি/ টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার প্রস্তাব আয়ারল্যান্ডের Nov 05, 2025
img
একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: গভর্নর Nov 05, 2025
img
টাইফুন কালমায়েগির তাণ্ডবে ফিলিপাইনের ৯৩ জনের প্রাণহানি Nov 05, 2025
img
বিএনপি প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় সতর্ক থাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের Nov 05, 2025
img
সাংবাদিকদের ওপর হামলা, স্বেচ্ছাসেবক দলের ২ নেতাকে বহিষ্কার Nov 05, 2025
img
মিরসরাইয়ে হবে ড্রোন কারখানা, চীনা কোম্পানির সঙ্গে বেপজার চুক্তি Nov 05, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রে মেয়র নির্বাচনে হেরে গেলেন জে ডি ভ্যান্সের সৎভাই কোরি বওম্যান Nov 05, 2025
img
দলীয় কোন্দলে গুলি খেতে না চাইলে এনসিপির রাজনীতি করার আহ্বান হাসনাত আবদুল্লাহর Nov 05, 2025
img
নেপাল ও ভারতের বিপক্ষে ২৭ সদস্যের দল ঘোষণা করলো বাফুফে Nov 05, 2025
img
ভিসা ছাড়াই আরও এক দেশ ভ্রমণের সুযোগ পেলো বাংলাদেশিরা Nov 05, 2025
img
জুলাই যোদ্ধারা মিডিয়া ইকোসিস্টেমে যুক্ত হলে মিডিয়ার গুণগত পরিবর্তন আসবে: তথ্য উপদেষ্টা Nov 05, 2025
img
১১ দিনের সরকারি সফরে সৌদি যাচ্ছেন ধর্ম উপদেষ্টা Nov 05, 2025
img
ওএসডি হলেন চাচাকে বাবা বানানো সেই ইউএনও কামাল Nov 05, 2025
img
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Nov 05, 2025
img
মেয়ে প্রিয়মকে পাওয়ার গল্প বললেন পরীমণি! Nov 05, 2025
img
ফের হাসপাতালে ক্যান্সারে আক্রান্ত দীপিকা Nov 05, 2025
img
এনসিপি নেতা মুনতাসির মাহমুদকে এবার চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি Nov 05, 2025
img
বিএনপি প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় মির্জা ফখরুলের গভীর উদ্বেগ Nov 05, 2025
img
বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারকে অপসারণ Nov 05, 2025
img
প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে মালদ্বীপে তামাক নিষিদ্ধ Nov 05, 2025