প্রার্থিতা ফিরে পেতে খালেদা জিয়ার আবেদন হাইকোর্টে খারিজ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে খালেদা জিয়ার করা তিনটি রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসানের একক বেঞ্চ খালেদার আইনজীবীদের আবেদন খারিজ করে দেন। এ বেঞ্চের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে যে আবেদন তারা করেছিলেন, তাও খারিজ করে দেন বিচারক।

এর ফলে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের সুযোগ থাকল না বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, হাইকোর্টের একক বেঞ্চ খালেদা জিয়ার করা তিনটি রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুসারে দণ্ডিত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। এই দিক বিবেচনায় নিয়ে আদালত রিট খারিজ করে দিয়েছেন।

এর আগে সকালে এই আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা লিখিত একটি আবেদন দাখিল করেন। আদালত এই আবেদন খারিজ করে দেন। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাওয়ার কথা জানিয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা সময় চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।

এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, এম বদরুদ্দোজা বাদলসহ অন্যরা আদালত কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। পরে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

তিন আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে খালেদা জিয়ার করা পৃথক রিট আবেদনের ওপর ১১ ডিসেম্বর বিভক্ত আদেশ দেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ। ওই আদেশ হওয়ার পর গত সপ্তাহে বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন একক বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

এই বেঞ্চে আবেদনগুলো শুনানির জন্য উঠলে ১৩ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার আইনজীবী সময়ের আরজি জানালে আদালত সোমবার দিন ধার্য রেখেছিলেন। তবে হাইকোর্টের নতুন বেঞ্চে সোমবার শুনানি হয়নি। খালেদার আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আজ (মঙ্গলবার) শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

এই শুনানিতেই তিনটি রিট আবেদন খারিজ করে দেন মাননীয় আদালত। এর ফলে খালেদা জিয়ার রিট খারিজের সিদ্ধান্ত উচ্চ আদালতে চূড়ান্ত হলো এবং তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: