ভোলায় নামতে শুরু করেছে জোয়ারের পানি, স্বাভাবিক হচ্ছে ফেরি চলাচল

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলায় অতি জোয়ারে প্লাবিত হওয়া নিম্নাঞ্চলের জোয়ারের পানি নামতে শুরু করায় স্বস্তি ফিরেছে পানিবন্দি মানুষদের মধ্যে। তবে থেমে থেমে চলছে বৃষ্টিপাত। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হলেও নদী উত্তাল থাকায় বন্ধ রয়েছে ১০টি রুটে লঞ্চ চলাচল। বিভিন্ন জায়গায় মাছের পুকুর-ঘের তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

পানিবন্দি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার (২৬ জুলাই) ভোরে জোয়ারের পর ভাটা শুরু হলে পানি নেমে যেতে শুরু করে। এর আগে শুক্রবার দুপুরে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়া নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ পানি রাতে নেমে গেছে।

এর মধ্যে পানিবন্দি ছিল মনপুরার উপজেলার কলাতলি চরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম, চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর, কুকরি মুকরি, চরপাতিলা। ভোলা সদরের রাজাপুর, নাছিরমাঝি, মাঝেরচর। দৌলতখানের মদনপুর, ভবানীপুর বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন ও লালমোহনের অন্তত অর্ধশতাধিক গ্রাম। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছিল বেড়িবাঁধের বাইরে ও চরাঞ্চলে বসবাসকারী বাসিন্দারা।

ভোলা সদরের ধনিয়া নাছিরমাঝি গ্রামের মো. ইমন, রাজাপুরের মো. রুবেল ও মনপুরার কলাতলি চরের বাসিন্দা মুফতি আরিফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুক্রবার দুপুরের তুলনায় শনিবার ভোরের জোয়ারের পানি কম হয়েছে। এমনিতেই গতকাল থেকে পথঘাট ও বাড়ির আশপাশ সব তলিয়ে ছিল। ওই অবস্থায় ফের ভোররাতে জোয়ার এসে আবারও আশপাশে পানি উঠেছিল। ভাটার সঙ্গে সঙ্গে পানি নেমে যেতে শুরু করেছে।

এ বিষয়ে ভোলা আবহাওয়া অফিসের প্রথম শ্রেণির পর্যবেক্ষক মো. মনিরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে, হালকা বৃষ্টিপাত চলছে। নিম্নচাপের প্রভাবে নদী ও সাগর উত্তাল রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ ভোলা নদী বন্দরের ট্রাফিক কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোলা নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকায় ভোলার ১০টি রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এসব রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে স্বাভাবিক রয়েছে ভোলা-ঢাকা রুটের লঞ্চ চলাচল।

বিআইডব্লিউটিসির ভোলার ব্যবস্থাপক কাউসার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, নদীর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় সকাল থেকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এতে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের চাপ কমে গেছে। এর আগে বৈরী আবহাওয়া শুক্রবার দুপুর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। কাজ চলছে। আগামীকাল নাগাদ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।

টিকে/

Share this news on:

সর্বশেষ

ভোটে প্রার্থীর চেহারা দেখা যাবে না, এমন নির্বাচন চায় না বিএনপি Jul 27, 2025
এআই-ই এখন সিদ্ধান্ত নেবে, চাকরি হারাবে মানুষ: স্যাম অল্টম্যানের সতর্কবার্তা Jul 27, 2025
ইউএস-বাংলাকে ২৭ লাখ ডলার ক্ষ'তি'পূরণ দেওয়ার নির্দেশ নেপালের Jul 27, 2025
থাইল্যান্ডে রাশিয়ার বিএম-২১ রকেট চালিয়ে আ/ঘা'ত হেনেছে কম্বোডিয়া Jul 27, 2025
img
'বর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতায় ডিজিটাল স্কিলস শুধু প্রয়োজন নয়, বরং অপরিহার্য' Jul 27, 2025
চার-পাঁচ দিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা বলছেন -মোস্তফা জামাল Jul 27, 2025
টেস্ট কেমন? খেয়ে দেইখা পরে কন টেস্ট কেমন! Jul 27, 2025
img
আসন্ন নির্বাচনে কুমিল্লা-২ আসন থেকে গণ অধিকার পরিষদের এমপি প্রার্থী নাজমুল Jul 27, 2025
img
ফেনী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ২ বাংলাদেশির দাফন সম্পন্ন Jul 27, 2025
img
আমরা আর টাকা পাচারের রাজনীতি দেখতে চাই না: আখতার Jul 27, 2025
img
ছাদ ধসে নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা Jul 27, 2025
img
ফেসবুকে প্রেম, বিয়ের দেড় মাস পর জানলেন নববধূ পুরুষ! Jul 27, 2025
img
আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে আন্তরিক ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সরকার: প্রধান উপদেষ্টা Jul 27, 2025
img
দেশে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য তৈরি হয়েছে: নাহিদ Jul 27, 2025
img
তরুণরাই ডিজিটাল রূপান্তরের প্রধান চালিকাশক্তি : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব Jul 27, 2025
img
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সংঘাতে বাস্তুচ্যুত ১ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ Jul 27, 2025
img
শহীদ পরিবারের সদস্যরা ভিক্ষা চান না, তারা সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চান: জামায়াত আমির Jul 27, 2025
img
কিশোরগঞ্জ রাষ্ট্রপতি পেয়েছে বটে, কিন্তু পায়নি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা: নাহিদ ইসলাম Jul 27, 2025
img
বাশার ও রাজ্জাকদের ম্যাচ রেফারি হওয়া নিয়ে মুখ খুললেন বিসিবি সভাপতি Jul 27, 2025
img
বিমানবন্দর থেকেই আরও ৮০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া Jul 27, 2025