৮ দফা দাবি জানিয়ে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা

বাণিজ্যিক মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ নিয়ে বিআরটিএর অভিযানের প্রতিবাদে ৮ দফা দাবি জানিয়েছে পরিবহন মালিকরা। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এসব দাবি না মানা হলে ৭২ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবহন মালিক-শ্রমিক সমন্বয় পরিষদ।

রোববার (২৭ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

পরিবহন মালিকদের ৮ দফা দাবি:
১. সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৯৮ ও ১০৫ ধারাসহ সুপারিশকৃত অন্যান্য ধারা সংশোধন।
২. বাণিজ্যিক মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ ২০ ও ২৫ বছর থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ বছর করা এবং সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পুরাতন গাড়ির বিরুদ্ধে বিআরটিএর অভিযান স্থগিত।
৩. বাজেটে দ্বিগুণ অগ্রিম আয়কর (প্রিজাম্পটিভ ইনকাম ট্যাক্স) কমিয়ে আগের মতো বহাল রাখা।
৪. মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন সরানোর জন্য রিকন্ডিশনড যানবাহন (বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, প্রাইম মুভার) আমদানির সময়সীমা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১২ বছর করা।
৫. দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি থানায় আটক হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মালিকের জিম্মায় দেওয়ার বিধান করা।
৬. মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহনের জন্য স্ক্র্যাপ নীতিমালা প্রণয়ন।
৭. মহাসড়কে তিন চাকার যান (অটো-টেম্পো, অটোরিকশা) ও অনুমোদনহীন হালকা যানবাহনের পৃথক লেনে চলাচলের ব্যবস্থা করা।
৮. ড্রাইভিং লাইসেন্স ও নবায়ন দ্রুত সরবরাহ এবং শ্রমিক ফেডারেশনের ১২ দফা দাবি বাস্তবায়ন।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম বলেন, সড়ক পথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সচল রাখার স্বার্থে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে (১১ আগস্ট পর্যন্ত) দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায়, ১২ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে ১৫ আগস্ট সকাল ৬টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টার জন্য সব ধরনের বাণিজ্যিক পরিবহন বন্ধ থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খানসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা।

 কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ফেনীতে মহিলা জামায়াতের উঠান বৈঠকে হামলা, আহত ২০ Oct 21, 2025
img
ফল ব্যবসায়ী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেন নী/ল ছবির সেই তারকা যুগল Oct 21, 2025
img
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জেতা ম্যাচে হার, সেমির স্বপ্ন শেষ বাংলাদেশের Oct 20, 2025
img
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় Oct 20, 2025
img
শাপলা প্রতীক নিয়ে আবারও পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি Oct 20, 2025
img
রাজনীতিতে আবারও ‘মাইনাস’ -কঠিন সময় এনসিপির : জিল্লুর রহমান Oct 20, 2025
img
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনে সংহতি জানাবে এনসিপি Oct 20, 2025
img
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ হামিদুল হক মোহন আর নেই Oct 20, 2025
img
মাদাগাস্কারে সেনা অভ্যুত্থানের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ Oct 20, 2025
img
ওয়ানডে সিরিজের মাঝেই ঢাকা থেকে ইংল্যান্ডে যাচ্ছেন শামার জোসেফ Oct 20, 2025
img
এবার চিরতরে চলে গেলেন বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা Oct 20, 2025
img
এ কে আজাদ যে আওয়ামী লীগ নেতা সেটা সর্বজনস্বীকৃত : নায়াব ইউসুফ Oct 20, 2025
img
আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ভারতীয় অলরাউন্ডার Oct 20, 2025
img
ওএসডি থাকা ৯ সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর Oct 20, 2025
img
ফিল্মি পরিবারে জন্ম, তবুও সাফল্যের মুখ দেখেনি প্রনূতন Oct 20, 2025
img
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত জামায়াত : মোবারক হোসাইন Oct 20, 2025
img
বাদ দেওয়া হলো ফেরদৌসকে Oct 20, 2025
img
ইউক্রেনকে তার ভূখণ্ডের কিছু অংশ ছেড়ে দিতেই হবে : ট্রাম্প Oct 20, 2025
img
গত মৌসুমে বার্সেলোনার লোকসান ২৪২ কোটি টাকা Oct 20, 2025
img
জামায়াত ও আ. লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ: সামান্তা শারমিন Oct 20, 2025