বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘যে গণতন্ত্রের জন্য আমরা লড়াই করেছি, শহীদ আবু সাঈদ জীবন দিয়েছে। আমরা মনে করেছি, অন্তর্বর্তী সরকার এসে সঙ্গে সঙ্গে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করবে। কিন্তু তারা নির্বাচন দিতে গড়িমসি করছে।’
আজ রবিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক দল আছে, যাদের দুই-তিনজন ছাড়া কোনো লোক নাই। তারা এসে বড় বড় বক্তব্য দেয়, সংস্কারের কথা বলে নানা রকম বুদ্ধি দেয়। আর এগুলো শুনে উপদেষ্টাদের মধ্যে কিছু কিছু মনে করেন উপদেষ্টা থাকা তো অনেক আরাম। সব কিছু ফ্রি।
আবার টাকা-পয়সা বানাতে চাইলে সেই সুযোগও আছে। ছাত্র দুজনকে উপদেষ্টা বানিয়েছে, তারা অনেক সংগ্রাম করেছে। কিন্তু তারা দ্রুত দুর্নীতির কাছে আত্মসমর্পণও করেছে।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্ররা যারা দল গঠন করেছে, এরা তো আমার নাতির বয়সী।
এই দলটা ওপরে উঠুক, এটা আমরা চাই। তারা প্র্যাকটিস করুক। এক সময় তারা সরকার গঠন করতেও পারে। তাদের প্রতি আমাদের শুভকামনা থাকল। তবে এত আগে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের গালাগাল করার দরকার নাই।’
মেজর হাফিজ বলেন, ‘বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জগৎ বিখ্যাত ব্যক্তি। তার প্রথমে ইচ্ছা ছিল না, লন্ডনে আমাদের নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পর এখন তিনি নির্বাচন দিতে চান। এরপরও কিছু কিছু উপদেষ্টা তাকে ভুল বুঝায়।’
এ সময় দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি ঐক্যবদ্ধ ও দলের প্রতি আনুগত থাকেন, ইনশাআল্লাহ বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে। জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করব।’
তজুমদ্দিন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা মিন্টুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আ ক ন কুদ্দুসুর রহমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ভোলার সমন্বয়ক আবু নাছের রহমত উল্যাহ, ভোলা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিউর রহমান কিরণ, সদস্যসচিব রাইসুল আলম প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলদের সমর্থনে গোলাম মোস্তফা মিন্টুকে সভাপতি ও ওমর আসাদ রিন্টুকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।
পিএ/ এসএন