ক্ষমতায় থেকে আদালতের কোনো উন্নয়ন করেননি : ইনুকে বিচারক

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। রবিবার (২৭ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। শুনানির এক পর্যায়ে ইনুর উদ্দেশ্যে বিচারক বলেন, আপনারা ক্ষমতায় থাকাকালীন আদালতের কোনো উন্নয়ন করে যাননি। আমলাতান্ত্রিক ও সরকারের কাজকে আপনারা আরো জটিল করেছেন।

এদিন হাসানুল হক ইনুকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার উপস্থিতিতে শুনানি শুরু হয়। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ সেলিম আদালতের উদ্দেশ্যে বলেন, আদালতে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। তাকে সব আসামির সঙ্গে এক জায়গায় রাখা হয়েছে।

তাছাড়া হাজতখানায় উন্নত টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। এগুলো উন্নত করা প্রয়োজন। তখন বিচারক ইনুর উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা এখনো এনালগ সিস্টেমে আছি। আপনারা ক্ষমতায় থেকেও ডিজিটাল সিস্টেম করে যাননি। এটা করলে আপনাদের আদালতে আসা লাগতো না। কারাগারে রেখে বিচার করতে পারতাম। 

তখন ইনু বলেন, আদালতে জেল-ফাঁসি যাই দেন সমস্যা নেই। কিন্তু দুদক বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে বিচারের আগেই মিডিয়া ট্রায়াল করেছে। এর থেকে পরিত্রাণ চাই। তখন বিচারক বলেন, অভিযোগ আসলে মিডিয়া তা প্রকাশ করবেই। পরে আদালত এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ১৬ মার্চ দুদক বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ৪ কোটি ৮৪ লাখ ২৫ হাজার ৫০৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন। 

তার চারটি ব্যাংক হিসাবে ১১ কোটি ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ১৯ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। আরেক মামলায় হাসানুল হক ইনুর স্ত্রী আফরোজা হকের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। হাসানুল হক ইনুর উপার্জিত অর্থ দিয়ে তার স্ত্রী সম্পদশালী হয়েছেন।

গত বছরের ২৬ আগস্ট হাসানুল হক ইনুকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।


ইউটি/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
নিরাপত্তা শঙ্কায় রুশ নৌবাহিনীর বার্ষিক কুচকাওয়াজ বাতিল Jul 27, 2025
img
যে আকাঙ্ক্ষায় ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে হটিয়েছি তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি : নাহিদ Jul 27, 2025
img
আইকনিক মসজিদ নির্মাণে ২৪৪ কোটি টাকার অনুদান দিবে সৌদি সরকার Jul 27, 2025
যে ৭জন মানুষ আরশের নিচে ছায়া পাবে | ইসলামিক জ্ঞান Jul 27, 2025
img
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: ডিএনএ শনাক্তে ভুল সংশোধন, কমলো মৃত্যুর সংখ্যা Jul 27, 2025
বিশ্বকাপে মেসির খেলা নিয়ে জল্পনা Jul 27, 2025
মুছে দেওয়া হল আল আজহারের গাজা বিবৃতি, ক্ষোভে ফুঁসছে মুসলিম বিশ্ব Jul 27, 2025
img
গত ৫ বছরে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর Jul 27, 2025
গুলশান চাঁদাবাজি মামলা: আদালতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা Jul 27, 2025
img
সংসদে নারী আসনের বিষয়ে ২ প্রস্তাব বিএনপির Jul 27, 2025
চুয়াডাঙ্গার বিচারক দোলনের বিরুদ্ধে তরুণীর মামলা Jul 27, 2025
গুলশানের চাঁদাবাজির ঘটনায় যা বলছেন তারিকুল ইসলাম Jul 27, 2025
img
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২০ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি Jul 27, 2025
img
শাড়ির ছবিতে সীমান্ত পেরিয়ে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিচ্ছেন ইয়ুমনা Jul 27, 2025
img
রোববার এইচএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল ১১ হাজার ৭৮১, বহিষ্কার ৯ জন Jul 27, 2025
img
‘ধূমকেতু’ আসার আগেই শুভশ্রীর গান গাইলেন রুক্মিণী Jul 27, 2025
img
সাবেক স্বামীর সম্পত্তিতে ভাগ চান কারিশমা কাপুর Jul 27, 2025
img
৩৯ বলে ডি ভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরি, রানের পাহাড় গড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা Jul 27, 2025
img
গিলের সামনে ব্র্যাডম্যানকে ছাড়িয়ে যাওয়ার হাতছানি Jul 27, 2025
img
বাহরাইনের গালফ পেট্রো কেমিক্যালের সিইও’র স‌ঙ্গে রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ Jul 27, 2025