১৮ জুলাই রাতের স্মৃতিচারণ করলে সারজিস ক্ষেপে যান কেন?- প্রশ্ন সমন্বয়ক হাসিবের

জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই রাতের স্মৃতিচারণ করতে গেলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম কেন ক্ষেপে যান? এমন প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম। রোববার (২৭ জুলাই) হাসিবুল তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে এমন প্রশ্ন উত্থাপন করেন।


সারজিস আলমকে উদ্দেশ্য করে হাসিব বলেন, শোনেন সারজিস, ১৮ জুলাইয়ের রাত আমার রাজনৈতিক জীবনের কলঙ্কিত অধ্যায়। স্রেফ মৃত্যুর ভয়ে আওয়ামী তিনজন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। আমি লজ্জিত ও অনুতপ্ত। আপনি অনুতপ্ত না-ই হতে পারেন, সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। ওই কম্প্রোমাইজের অনুশোচনায় বহু রাত আমার নির্ঘুম পার করতে হয়।

অন্য আরেকটি পোস্টে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের এই নেতা বলেন, গত বছর ১৮ জুলাই রাতে আমাকে তুলে নিয়ে শিবির, রাষ্ট্রদ্রোহী ট্যাগিং করে বন্দুকের নলের ডগায় রেখে তিন আওয়ামী মন্ত্রীর সঙ্গে জোরপূর্বক সাক্ষাৎ করায় একটি গোয়েন্দা সংস্থা। সেখানে সারজিস আলমও ছিলেন, তিনি হয়তো ভুলে গেছেন।

তিনি বলেন, আন্দোলনের পিক মোমেন্টে ছয় সমন্বয়ক যখন ডিবিতে তখনও তারা (ওই সংস্থা) আমাকে নিয়ে আন্দোলনের সহিংসতার দায় জামায়াত-বিএনপির ওপর চাপিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ভিডিও বানানোর জন্য ত্রমাগত চাপ দিতে থাকেন। পরে তুলে নিয়ে গান পয়েন্টে রেখে জোরপূর্বক ফেসবুক পোস্ট করায়। আমার রাজনৈতিক অবস্থান সব সময় দিল্লির আধিপত্যবাদ, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও বিচারবহির্ভূত গুম-খুনের বিরুদ্ধে ছিল। কিন্তু আমার রাজনৈতিক জীবনকে কলঙ্কিত করেছে এই সংস্থা। সেদিন তাদের গুলিতে শহীদ হয়ে গেলে আমাকে দিয়ে করানো বেইমানির জন্য আমার হয়তো রাতের পর রাত জেগে আফসোস হতো না।

হাসিব বলেন, ওই সংস্থা আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে টিকিয়ে রাখতে শতশত মানুষকে বিচারবহির্ভূত গুম ও খুন করেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানজুড়ে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে কাজ করেছিল বাহিনীর হাইকমান্ড। পরে বিদ্রোহের ভয়ে আওয়ামী লীগকে সেফ এক্সিট দেয় ওই বাহিনী।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
একদিনে স্টারলিংকের ৮ স্যাটেলাইট স্টেশন গুঁড়িয়ে দিল রাশিয়া! Jul 27, 2025
img
স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনে একমত সব রাজনৈতিক দল: আলী রীয়াজ Jul 27, 2025
img
বরগুনায় বড়শিতে ধরা পড়ল ১১ কেজির পাঙ্গাশ Jul 27, 2025
img
যারা ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে তারা সবাই আমাদের বন্ধু: হাফিজ Jul 27, 2025
img
ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়, ২ বিভাগে ভারি বর্ষণের আভাস Jul 27, 2025
img
এবার ফিলাডেলফিয়ার দর্শক মাতালেন রকস্টার জেমস Jul 27, 2025
img
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মামলায় অনেক নির্দোষকেও আসামি করা হয়েছে: আদিলুর রহমান Jul 27, 2025
img
শেখ হাসিনাকে পুশইন করুন, ভারতকে নাহিদ Jul 27, 2025
img
বাবরকে কটাক্ষের প্রতিবাদে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে বিএনপির বিক্ষোভ Jul 27, 2025
img
সংস্কৃতি গঠনের পথিকৃৎ ৯০ জন নারীর তালিকায় দীপিকা পাড়ুকোন Jul 27, 2025
img
গণভবনকে মিউজিয়াম করা হচ্ছে : শিল্প ও গণপূর্ত উপদেষ্টা Jul 27, 2025
img
ফ্যাসিবাদের শাসনব্যবস্থাকেও বিদায় করা হবে : জোনায়েদ সাকি Jul 27, 2025
img
ডন থ্রিতে কি থাকছেন কৃতি শ্যানন? Jul 27, 2025
img
গতকালও ফেসবুকে খুনসুটি, আর আজই চিরবিদায় নিল রাতুল Jul 27, 2025
img
খায়রুল হকের শুনানিতে বিচারিক কাজে অসহযোগিতায় ডিসিকে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ Jul 27, 2025
img
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ: গ্রেফতার হওয়া শিশুদের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট Jul 27, 2025
img
রাফার কণ্ঠে শোক: হাজার মানুষের কাজ একাই করতেন রাতুল Jul 27, 2025
img
রাষ্ট্রের মূলনীতির ব্যাপারে ঐকমত্য হয়নি : আলী রীয়াজ Jul 27, 2025
img
বিদেশি চিকিৎসক দলকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা Jul 27, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনে পথহারা বাংলাদেশ : জিল্লুর রহমান Jul 27, 2025