বাংলাদেশে নবনিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ড. আবদুল্লাহ জাফের বিন আবিয়াহ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
রোববার (২৭ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা নতুন দায়িত্ব গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রদূতকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন যে, তার মেয়াদকালে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও উচ্চতর পর্যায়ে পৌঁছাবে। তিনি রাষ্ট্রদূতের মেয়াদকালে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের গভীর সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়িয়ে এ সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করা সম্ভব।
তিনি সৌদি আরবকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, সাশ্রয়ী শ্রমশক্তি ও প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে এখানে তাদের উৎপাদন খাত গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এ প্রসঙ্গে তিনি সৌদি বিনিয়োগকারীদের তেল শোধনাগারসহ জ্বালানি খাত, স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসা শিক্ষা ও ওষুধ শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
জবাবে সৌদি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে তার দেশের সুদৃঢ় বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, সৌদি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ‘রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল’ বর্তমানে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে যুক্ত।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে একটি আরবি ভাষা ইনস্টিটিউট এবং দেশের বিভিন্ন শহরে ৮টি মসজিদ নির্মাণের জন্য সৌদি সরকার ২ কোটি মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে।
সাক্ষাৎকালে সৌদি রাষ্ট্রদূত অক্টোবরে রিয়াদে অনুষ্ঠেয় নবম ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এফআইআই) ফোরামে অংশগ্রহণের জন্য সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আমন্ত্রণপত্র প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে সৌদি যুবরাজের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করায় তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতের হাতে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে জনতার আঁকা গ্রাফিতির একটি স্মারক উপহার হিসেবে তুলে দেন।
সিনিয়র সচিব ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন।
এসএন