রাজধানীর শাহবাগ থানার সরকারি কর্মচারী কর্তৃক দুর্নীতিমূলক উপায়ে আদেশ, রিপোর্ট, রায় প্রণয়নের অভিযোগে করা মামলায় রিমান্ড শুনানিকালে নিজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগকে ‘নট কারেক্ট’ বলে আখ্যায়িত করেছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক।
বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যাহর আদালতে এ মন্তব্য করেন তিনি। এদিন শুনানি শেষে তার ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। সকাল ১০টার পর তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক খালেক মিয়া ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এদিন রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ২৪ জুলাই সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এদিন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যাত্রাবাড়ী থানার কিশোর আব্দুল কাইয়ূম আহাদ হত্যা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ'র আদালত।
গত বছরের ২৭ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহা. মুজাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এবিএম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলায় দণ্ডবিধির ২১৯ ও ৪৬৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিচারপতি খায়রুল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায় প্রভাবিত হয়ে এবং তার অবসর পরবর্তী ভালো পদায়নের লোভের বশবর্তী হয়ে দুর্নীতিমূলকভাবে শেখ হাসিনাকে খুশি করার অভিপ্রায়ে ২০১১ সালের ১০ মে সংক্ষিপ্ত আদেশটি পরিবর্তন করে বেআইনিভাবে ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আপিল মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন।
কেএন/এসএন