ইউক্রেনের একটি সামরিক প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই হামলায় বেশ কয়েকজন ইউক্রেনীয় সেনা হতাহত হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাতে ইউক্রেনের গ্রাউন্ড ফোর্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই হামলায় অন্তত তিনজন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন এবং আরও ১৮ জন আহত হয়েছেন।
বিবৃতিতে ঘাঁটিটির সুনির্দিষ্ট অবস্থান উল্লেখ করা না হলেও, ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রতিবেদক আন্দ্রেই তাপলেনকো দাবি করেছেন, ঘটনাস্থল ছিল কিয়েভের উত্তরে রাশিয়া ও বেলারুশ সীমান্তবর্তী এলাকা চেরনিহিভে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে—একটি ইস্কান্দার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বনের মধ্যে ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়। তবে ভিডিওটির সত্যতা এখনও যাচাই করা যায়নি।
রুশ পক্ষের দাবি, এই হামলায় ইউক্রেন যেভাবে হতাহতের সংখ্যা উল্লেখ করেছে, প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়েও অনেক বেশি।
ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করা সত্ত্বেও, দুঃখজনকভাবে, আমরা কর্মীদের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি পুরোপুরি এড়াতে পারিনি।’
গত দুই মাসে এটি ইউক্রেনের সামরিক প্রশিক্ষণ ইউনিটে রাশিয়ার তৃতীয় আক্রমণ। এর আগে মে মাসে সুমি সীমান্ত অঞ্চলে ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ছয়জন সেনা নিহত হন। আর গত মাসে অপর এক হামলায় প্রাণ যায় ১২ জনের এবং আহত হন আরও ৬০ জন।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর জন্য অনুশীলনে থাকা সৈন্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ হামলার পর তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে সেনাবাহিনী।
গত মাসের প্রাণঘাতী হামলার পর গ্রাউন্ড ফোর্সের কমান্ডার মিখাইলো দ্রাপাতিই পদত্যাগ করেন। তিনি বলেছিলেন, নিহতরা ছিলেন একটি প্রশিক্ষণ ব্যাটালিয়নের ‘তরুণ সৈনিক’, যাদের বেশিরভাগই হামলার সময় আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছিলেন।
কেএন/এসএন