ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে রাজশাহীর বিএনপি নেতা কারাগারে

রাজশাহীর পবায় ছাত্রীর যৌন হায়রানির অভিযোগে রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার সকালে সিরাজুলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সিরাজুল ইসলাম রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠে অবস্থিত কাটাখালির আদর্শ ডিগ্রি কলেজের ভূগোল বিভাগের শিক্ষক। তার বাড়ি পবা উপজেলার কাটাখালি পৌরসভার শ্যামপুর গ্রামে। কাটাখালি পৌরসভার গত নির্বাচনে তিনি মেয়র প্রার্থী ছিলেন।

কাটাখালি থানার ওসি জিল্লুর রহমান জানান, কয়েক দিন আগে কলেজের একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম যৌন হয়রানি করেন। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। এরপর পবার কাটাখালি পৌরসভার শ্যামপুর গ্রামের বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

কাটাখালি পৌরসভার বর্তমান মেয়র আব্বাস আলীর ষড়যন্ত্রে সিরাজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন।

তিনি বলেন, কাটাখালি পৌরসভা নির্বাচনে সামান্য ভোটে মেয়র আব্বাস আলীর কাছে পরাজিত হন সিরাজুল ইসলাম। আগামী নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হবেন। এ ছাড়া গত ২৫ জুলাই শ্যামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে মেয়র আব্বাস আলী ও সিরাজুল ইসলামের প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এ নির্বাচনে আটটি পদেই সিরাজুল ইসলামের প্যানেল বিজয়ী হয়। এ নিয়ে মেয়র আব্বাসের সঙ্গে সিরাজুল ইসলামের দ্বন্দ্ব আরও বেড়ে যায়। তাই যৌন হয়রানির মিথ্যা নাটক সাজানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মেয়র আব্বাস আলী নিজের গাড়িতে করে ওই ছাত্রী এবং তার মাকে থানায় নিয়ে যান। এর পর মামলা করানো হয়। এই মামলা মিথ্যা দাবি করে মামুন গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষকের মুক্তি দাবি করেন।।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে আব্বাসের মোবাইলে ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: