গাজায় একদিনে নিহত ১০৪, মোট নিহত ছাড়াল ৬০ হাজার ১০০

বুধবার দিনভর ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গোলাবর্ষণে ফিলিস্তিনের গাজার উপত্যকায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১০৪ জন এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৯৯ জন। বুধবার সন্ধ্যার পর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবারের পর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬০ হাজার ১৩৮ জনে। এদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৪৬ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনি।

’২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।

হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল।

কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত চার মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ৮ হাজার ৯৭০ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩৪ হাজার ২২৮ জন।

যে ২৫১ জন জিম্মিকে হামাসের যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন এখনও জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

তবে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এই অভিযানের লক্ষ্য এবং লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

‘সাইয়ারা’ জেন জেড প্রজন্মের সঙ্গে দারুণভাবে মিলে গেছে: আমির খান Aug 01, 2025
img
সন্তানকে কোলে নিয়ে সংসদে লড়াই করে নজির গড়লেন কুইন্সল্যান্ডের লেবার নেত্রী Aug 01, 2025
img
‘এশিয়া কাপে ফাইনাল খেলার মতো দল বাংলাদেশ’ Aug 01, 2025
img
জামায়াত আমিরের হার্টের বাইপাস সার্জারি শনিবার Aug 01, 2025
img
বদরুদ্দীন উমরের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন এনসিপির আহ্বায়ক Aug 01, 2025
img
১৩২ রানের টার্গেটেও জিততে পারলেন না নাইম-আফিফরা Aug 01, 2025
img
ঢাকায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আ.লীগের ‘গোপন বৈঠক’ থেকে গ্রেফতার ২২ Aug 01, 2025
img
তীব্র ঝাঁকুনিতে জরুরি অবতরণ, ডেল্টা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে আহত দুই ডজনের বেশি যাত্রী Aug 01, 2025
img
গত আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ১৬,৪৫৯ জন Aug 01, 2025
img
সেনাপ্রধানকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জামায়াত আমিরের স্ট্যাটাস Aug 01, 2025
img
বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই : গয়েশ্বর Aug 01, 2025
img
শেষ সময়ে ঐকমত্য কমিশনের সভা ‘বর্জন’ করেছে বাম দলগুলো Aug 01, 2025
img
হতাশায় বক্সারের কান্না, ফলাফলে পক্ষপাতের অভিযোগ Aug 01, 2025
img
দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনায় ১৯ বিষয়ে ঐকমত্য : আলী রীয়াজ Aug 01, 2025
img
অপ্রত্যাশিত এক দুর্ঘটনায় থেমে গেল সংগ্রামী রুম্মানের জীবন Aug 01, 2025
img
চট্টগ্রাম বন্দরে জাল কাগজে কনটেইনার উত্তোলনের চেষ্টা, আটক ১ Aug 01, 2025
img
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীমানা সংশোধনে ইসিকে ক্ষোভ জানালো সংক্ষুদ্ধরা Aug 01, 2025
img
জ্যাক লিচই ইংল্যান্ডের সেরা স্পিনার, বিশ্বাস লায়নের Jul 31, 2025
img
সালমানকে অবাঞ্চিত ঘোষণার পরদিনই পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে ১০০ পয়েন্ট Jul 31, 2025
img
আমার স্বপ্ন হলো আমরা চ্যাম্পিয়ন হবো: তাসকিন Jul 31, 2025