ফের মেগাসিটি ঢাকার বাতাসের মানে ব্যাপক অবনতি হয়েছে। তবে সহনীয় পর্যায়ে আছে। একদিন আগেও বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ঢাকার বাতাস বিশুদ্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টির পরও শুক্রবার (১ আগস্ট) ঢাকার বাতাসের এই অবনতি।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের শুক্রবার সকাল ৯টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ৭৭, যা সহনীয় পর্যায়ের বাতাসের নির্দেশক। আইকিউএয়ারের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের করা দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ২৭ তম।
বৃহস্পতিবার ৩৬ বায়ুমান নিয়ে বায়ুদূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিল ৯০তম।
আর তালিকায় শীর্ষে আছে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিনশাসা। গত এক মাস ধরে বেশির ভাগ দিনই বায়ুদূষণে শীর্ষে থাকছে শহরটি। শহরটির বায়ুমান আজ ১৭৫, যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
এদিন দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি শহর। সেগুলো হলো শিকাগো, মেনিয়াপোলিস, ডেট্রয়েট। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে-১৫৮, ১৫৪, ১৩৯। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইও রয়েছে শীর্ষ পাঁচে। ১৬৫ বায়ুমান নিয়ে শহরটির অবস্থান আজ দ্বিতীয়।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ-এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদরোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
প্রতি বছর বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
এফপি /এসএন