যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য চুক্তিতে লাভবান হয়েছে পাকিস্তান। এমন দাবি করেছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব।
বুধবার (৩০ জুলাই) রাতে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান একটি বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করে।
চুক্তির পর বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব বলেন, দুদেশের মধ্যকার বাণিজ্য চুক্তিতে লাভবান হয়েছে ওয়াশিংটন-ইসলামাবাদ দুই পক্ষই।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সত্যিকারের লাভজনক পরিস্থিতি হতে চলেছে এটা। এক্ষেত্রে তারা বেশ কয়েকটি খাতে বিনিয়োগের কথা বলেছে। আমরা জ্বালানি দিয়ে শুরু করব। তারপর খনিজ, খনি ও ডিজিটাল অবকাঠামো নিয়ে এগোবো। এই চুক্তির মূল লক্ষ্যই ছিল যে, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ একসাথে চলবে।
বৃহস্পতিবার সকালে নিজের মালিকানাধীন সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ চুক্তির ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি লেখেন, আমরা সম্প্রতি পাকিস্তানের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি, যেখানে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে তাদের বিশাল তেলসম্পদ উন্নয়নে কাজ করবে। কোন তেল কোম্পানি এই প্রকল্প পরিচালনা করবে, তা ঠিক করার প্রক্রিয়ায় আছি। কে জানে, হয়তো একদিন তারা (পাকিস্তান) ভারতেও তেল রফতানি করবে!’
চুক্তিটি ট্রাম্পের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক কমাতে সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। তাই ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে শুল্ক নিয়ে হোয়াইট হাউসের এক ঘোষণায় জানানো হয়— পাকিস্তানের ওপর কমিয়ে ১৯ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল বাণিজ্য ঘাটতির কথা উল্লেখ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর উচ্চ হারে পাল্টা শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। তখন পাকিস্তানের ওপর ২৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। পরে ওই শুল্কহার তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। এ সময় শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশকে আলোচনার সুযোগ দেয় ওয়াশিংটন।
এসএন