দক্ষিণপন্থা জুজুর ভয় দেখিয়ে জনগণকে বোকা বানানো যাবে না: নাসীরুদ্দীন

দক্ষিণপন্থার জুজুর ভয় দেখিয়ে জনগণকে আর বোকা বানানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয় সেমিনারে এই কথা মন্তব্য করেন তিনি। ‘জুলাই চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান: প্রত্যাশা, প্রাপ্তি ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা এবং ‘২য় স্বাধীনতার শহীদ ও আহত যারা’ বইয়ের ইংরেজি ও আরবি ভার্সনের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে এই সেমিনারের আয়োজন করে জামায়াত।

নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘শেখ হাসিনা দেশের আলেম সমাজের ওপর নির্যাতনকে জায়েজ বানিয়ে ফেলেছিল৷ একটি দলের মহাসচিব ইসলামী দলগুলোকে দক্ষিণপন্থি হিসেবে চিহ্নিত করে৷ আমি বলতে চাই যদি দক্ষিণপন্থিরা দেশে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটায় তবে আপনার সমস্যা কী।’

দক্ষিণপন্থা নামক ট্যাগ দিয়ে দেশে পুনরায় ইসলামপন্থিদের কোণঠাসা করার পাঁয়তারা চলছে বলেও অভিযোগ করেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক৷ দক্ষিণপন্থার জুজুর ভয় দেখিয়ে দেশের জনগণকে আর বোকা বানানো যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটিতে (ডিআরিইউ) এনসিপির শ্রমিক উইংয়ের যোগদান অনুষ্ঠানে নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘আশির দশকে কলকারখানা ছিল শ্রমিকদের দখলে। যারা এখন শ্রমিকদের পক্ষে মাঠে লড়াই করেন, তারা সবাই মালিকের লোক। যতদিন শ্রমিকরা ওই জায়গায় যেতে না পারবে ততদিন তারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।’

শ্রমিকরা আগামীর বাংলাদেশে নেতৃত্ব দিবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একটি দলের দুজন মহারথী সব জায়গায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদি এভাবে কোনো দালাল কাজ করে, তাহলে কীভাবে চলবে। এখন ধানের দাম পাওয়া যাচ্ছে না, বড় বড় করপোরেট হাউজের কারণে।’

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘চেয়ারের অদলবদল হলেও ফাইলের অদলবদল হয়নি। সংসদে অবশ্যই শ্রমিক প্রতিনিধি থাকতে হবে। এখন যারা আছেন তারা আইনজীবী কিংবা ব্যবসায়ী।’

গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারও শ্রমিকদের বুকে গুলি চালিয়েছে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘শ্রমিকের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে কেউ যখন ক্ষমতায় বসে, তখন তার দায়িত্ব হল শ্রমিকের অধিকার রক্ষা করা।’
নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘ভবিষ্যতে বাংলাদেশের গণ-অভ্যুত্থানে শ্রমিকদের অবদান আমরা মনে রাখবো। আপনারা এগিয়ে যান, এনসিপি আপনাদের পাশে রয়েছে।’

এফপি /এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সনদ চাইনি, আমাদের জুলাই ঘোষণা কোথায়: ফরহাদ মজহার Aug 02, 2025
img
জনপ্রিয়তা বাড়াতে বিপিএলের হোম-অ্যাওয়ে পথে হাঁটতে চায় বিসিবি Aug 02, 2025
img
দ্রুতই চালু হবে চট্টগ্রামের ইনডোর: ফাহিম Aug 02, 2025
img
আগামী ২৫ আগস্ট তিস্তা সেতুর উদ্বোধন Aug 02, 2025
img
হরিপুর সীমান্তে আটক ৩ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ Aug 02, 2025
img
লন্ডনে লোকাল বাসের অপেক্ষায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান Aug 02, 2025
img
পাকিস্তান-চীন সম্পর্ক অদ্বিতীয়, পরীক্ষিত ও অটুট : মন্তব্য পাক সেনাপ্রধানের Aug 02, 2025
img
সিলেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে আহত ২৮ Aug 02, 2025
img
ঢাকায় আ. লীগ সহ অঙ্গ সংগঠনের ৮ নেতাকর্মী গ্রেফতার Aug 02, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে ৬১ বাংলাদেশিকে Aug 02, 2025
img
ওভালে ১৫ উইকেট পতনের দিনে সব আলো কেড়ে নিলেন সিরাজ-কৃষ্ণা Aug 02, 2025
img
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে মধ্যরাতে দুই উপদেষ্টার স্ট্যাটাস Aug 02, 2025
img
ডিজে পার্টিতে অংশ নিতে যাওয়ার সময় সেনাবাহিনীর হাতে আটক ৫৭ Aug 02, 2025
img
ওভাল টেস্টে ৫২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ভারত Aug 02, 2025
img
আগামী বছর বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ হতে পারেন ব্রাজিলের সমর্থকরা Aug 02, 2025
img
রিকশা থেকে বিএমডব্লিউতে চড়লেন কিভাবে, জনগণ জানতে চায় : হাবিব উন নবী খান Aug 02, 2025
img
আজ জামায়াত আমির শফিকুর রহমানের ওপেন হার্ট সার্জারি Aug 02, 2025
img
ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দেবেন প্রধান উপদেষ্টা, প্রত্যাশা মির্জা ফখরুলের Aug 02, 2025
img
নির্বাচনে হেফাজতের সঙ্গে জোটের বিষয়ে সালাহউদ্দিনের মন্তব্য Aug 02, 2025
img
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নতুন করে আবারও খুলছে বাংলাদেশিদের জন্য Aug 02, 2025