পিআর পদ্ধতির (সংখ্যানুপাতিক) পেছনে অন্য উদ্দেশ্য আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, ‘পিআর পদ্ধতির পেছনে উদ্দেশ্য আছে। উদ্দেশ্য হলো, কেউ বলল করব, কেউ বলল করব না; অর্থাৎ একপর্যায়ে বলবে, এ কারণে নির্বাচন হচ্ছে না। সুতরাং আরো কিছুদিন সময় বাড়িয়ে দিতে হবে।’
শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাধানীর যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক রোডে আয়োজিত এক সমাবেশে মির্জা আব্বাস এ কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘নির্বাচন দিতে এত গড়িমসি কেন, আমি বুঝতে পারি না। আমি একটা জিনিস বুঝতে পারি, জাস্টিস ডিলেইড, জাস্টিস ডিনাইড; অর্থাৎ বিচারক যদি দেরি করেন বুঝতে হবে, বিচারক রায় ভালো দেবেন না।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘আর দেরি করবেন না।
আমরা জানি, আপনারা ঘোষণা দেবেন, তারিখ ঘোষণা দেবেন, এর পেছনে আপনাদের আবার কোন ষড়যন্ত্রতত্ত্ব লুকিয়ে আছে, আল্লাহই বলতে পারবেন। আর কারও না হোক, আমি অনেক সন্দেহ করি। আমি অনেক সন্দেহ করি, তাদের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পেছনেও অনেক ষড়যন্ত্র আছে। এরপরও ষড়যন্ত্র আছে।’
দেশের মানুষকে জোর করে ইভিএম খাওয়ানো যায়নি, পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধি) পদ্ধতিও খাওয়ানো যাবে না বলে মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই দেশের লোককে ইভিএম পদ্ধতি খাওয়াতে চেয়েছিল হাসিনা, এ দেশের লোক গিলেনি। সুতরাং আপনাদের পিআর পদ্ধতিও কেউ গিলবে না, এই কথা মনে রাইখেন।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে এনসিপির সরকার উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সরকারের মাথা থেকে নিচ পর্যন্ত পঁচে গিয়েছে। আমি ধারণা করেছিলাম, এই সরকার এনসিপির সরকার। সরি।
তো হ্যাঁ, অবস্থাদৃষ্টিতে মনে হয় এই সরকার বোধ হয় এনসিপির সরকার। উনারা যখন যেখানে যান, প্রটোকল পান, সরকারি প্রটোকল। পুলিশ, বিডিআর, আর্মি, গার্ড থাকে। সার্কিট হাউস ব্যবহার করেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরাও তো বহু যাই, বহু গেলাম, আমরা তো পেলাম না। আমরা তো মন্ত্রী ছিলাম বহুদিন, ঢাকা শহরের মেয়রও ছিলাম, কই, আমরা তো পাই না।’
এমআর/টিকে