ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জুলাইয়ে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের গণকবরের ইটগুলোও ভালো দেওয়া হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে গণকবর পরিদর্শন গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) সবচেয়ে বেশি বলবেন দুর্নীতির বিপক্ষে। আমাদের দেশে বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি। দুর্নীতি না কমালে কিছুই ঠিক হবে না। এই যে শহীদের কবর দেখলেন সেখানেও ইটের মান ভালো দিচ্ছে না।
রায়েরবাজারে কতজনের কবর আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে মোট ১১৪টি কবর আছে।
আগামীকাল গণহত্যার একবছর, এই গণহত্যার বিচারপ্রক্রিয়ার কি অবস্থা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিচার প্রক্রিয়া তো চলতেছে। আমার একটা অনুরোধ- দেশের জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তাদের কবরের ইটগুলো ভালো দিচ্ছে না এগুলো আপনারা একটু প্রচার করবেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এখানে শতাধিক শহীদের দাফন করা হয়েছে। তাদের অনেককে কিন্তু শনাক্ত করা যায়নি। এগুলো আমাদের চিন্তাভাবনা আছে। খুব তাড়াতাড়ি আমরা তাদের শনাক্ত করার ব্যবস্থা করব। এতদিন তাদের আত্মীয়-স্বজন অনেকেই কবর থেকে উঠানো হোক এটা রাজি হয়নি। এখন তারা রাজি হয়েছে। যদি তারা সবাই রাজি হয়ে যায় তাহলে তাদের লাশগুলো আমরা ডিএনএ এর মাধ্যমে শনাক্ত করব।
এই লাশগুলো পোস্টমর্টেম হয়নি ডিএনএ হয়নি। এই প্রক্রিয়াগুলো হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু ডিএনএ করা হবে সেহেতু লাশগুলো পোস্টমোর্টেম হয়ে যাবে। এটা ডাক্তারদের মাধ্যমে হবে। এটা একটা কমিটির মাধ্যমে হবে। তখন তারা বিস্তারিত বলতে পারবে এটা কোন প্রক্রিয়ায় হবে।
পোস্টমর্টেম না হওয়ায় অনেক মামলার তদন্ত আটকে আছে, এটা নিয়ে কি ভাবছেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের অনেকেই শহীদ হয়েছেন। অনেকগুলো মামলা কিন্তু বিচারাধীন। কিছু মামলার বিচার শুরু হয়েছে। এই মামলাগুলোর ও প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। এগুলোও আস্তে আস্তে হয়ে যাবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিচারের আওতায় আনা হবে।
পিএ/টিএ