বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ বিদায় করতে পারলেও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। যারা দেশে লুটপাট গুম-খুন চালিয়েছে, তাদের বিচার দ্রুত সময়ে করা হোক। সে বিচার ব্যবস্থা ত্বরান্বিত করতে আমরা অনেক আগেই আরেকটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আমরা চাই সুবিচার হোক, কিন্তু বিলম্বিত বিচার নয়।
রোববার (৩ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকীতে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত জুলাই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করার যে চেষ্টা, তার কারণ আছে। কেউ কেউ সংগঠিত হওয়ার জন্য বেশি সময় চাইছেন। আবার কেউ কেউ জোট বাঁধার চেষ্টা করছেন। কিছুদিন আগেও যারা একে অপরকে বেইমান, বিধর্মী বলে আখ্যায়িত করেছেন, তারা এখন ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এইসব কারণে কি দেশের জনগণ নির্বাচনের যে আকাঙ্ক্ষা, তার জন্য বিলম্ব করবে? আমরা বিশ্বাস করি যে দেশে এরইমধ্যে নির্বাচন দেয়ার মতো অবাধ পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সংস্কারও যেমন চলমান প্রক্রিয়া, বিচারও তেমন চলমা প্রক্রিয়া। সংস্কার কমিশনের কাজ- জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন যেটা হলো, সেটারও কাজ প্রায় শেষ। এমনকি জুলাই সনদে যে ড্রাফট আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে, আমরা তাতে বলেছি- কিছু ভাষা প্রয়োগে ত্রুটি, বাক্য গঠনে যে ত্রুটি কিংবা শব্দ আরও সঠিক শব্দ হতে পারে।
এছাড়া আর কোনো পরিবর্তনের প্রস্তাব আমরা করি নাই; আমরা একমত হয়েছি। এমনকি সেই সনদে এমন প্রতিশ্রুতির কথাও লেখা আছে, রাজনৈতিক দলগুলো সেখানে স্বাক্ষর করে বলব যে, এই সনদে যা লেখা থাকবে- এটা যেই আমরা নির্বাচিত হই, আমরা সেটা বাস্তবায়ন করব।
আমরা রাজি হয়েছি। তাহলে নির্বাচনের বিলম্ব কেন- নির্বাচন কমিশন যদি প্রস্তুত থাকে।
এমআর/টিএ