আমি হান্নান মাসউদ জুলাই আন্দোলনে একজন সমন্বয়ক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক। এই পরিচয় আমার কাছের গর্বের, অহংকারের।
রোববার (৩ আগস্ট) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘নতুন বাংলাদেশ ইশতেহার ঘোষণা’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ।
তিনি বলেন, একটি পক্ষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কলঙ্কিত করতে চাইছে। আমি হান্নান মাসউদ জুলাই আন্দোলনে একজন সমন্বয়ক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক। এই পরিচয় আমার কাছের গর্বের, অহংকারের।
হান্নান বলেন, এনসিপি দুর্বল নয়। আমরা বুক পেতে দেশের জন্য লড়বো। একটি পক্ষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। তাদের সে ষড়যন্ত্র কখনও সফল হবে না। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা থামবো না।
এনসিপির এই নেতা বলেন, এক বছরে কি পেয়েছি? না পেয়েছি স্বাধীনতা, না পাচ্ছি মানবিক অধিকার।
তিনি বলেন, আমরা কথা দিয়েছিলাম এই রাষ্ট্রে কোনও চাঁদাবাজি থাকবে না। এখানে কোনও বৈষম্যের স্থান হবে না, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। অথচ হত্যা ও ধর্ষণ বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি ক্ষমা চাচ্ছি, সেসব সেনা অফিসারের কাছে, যারা পিলখানায় হত্যার শিকার হয়েছিলেন। ক্ষমা চাচ্ছি ফেলানীর কাছে, যে সীমান্তের কাঁটাতারে জীবন দিয়েছেন।
এছাড়াও ইলিয়াস আলী ও আমান আযমীসহ যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছিলেন তাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। কারণ এক বছরেও তাদের প্রতি সরকার অন্যায় বিচারের উদ্যোগ নিতে পারেনি।
এমকে/টিএ