গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে বহিস্কৃত গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের তিন নেতাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (৩ আগস্ট) আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর আসামি রিয়াদ আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মতি হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান। অপর তিন আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তিনি।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ'র আদালত রিয়াদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালত অপর তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব।
গত ২৬ জুলাই রাতে চাঁদাবাজির সময় ওই বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৭ জুলাই আসামি আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু নিজেদের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বাদীর গুলশান ২ এর বাসায় হুমকি ধমকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার চাঁদা দাবী করে। অপারগতা প্রকাশ করলে, তাকে আওয়ামীলীগের ও স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেফতার করানোর হুমকি দেয়। ভয়ে তাদেরকে ১০ লাখ টাকা দেন। পরে ১৯ জুলাই পুনরায় বাকী ৪০ লাখ টাকা জন্য। সেদিনও হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে গত ২৬ জুলাই চাঁদা নিতে আসলে গুলশান থানা পুলিশ তাদের আটক করে।
চাঁদাবাজির ঘটনায় শাম্মি আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর গুলশান থানায় ছয় জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
এসএন