ভালোবাসার টানে মালয়েশিয়া থেকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে এসেছেন স্মৃতিনূর আতিকা (৩০) নামে এক মালয়েশিয়ান তরুণী। বর্তমানে জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছেন তিনি।
শনিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান স্মৃতিনূর আতিকা। এ সময় ফুল দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান ভালোবাসার মানুষ রিংকু রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা। সেখান থেকে নববধূকে নিয়ে আসা হয় মালয়েশিয়া প্রবাসী রিংকু রহমানের বাড়ি।
রিংকু রহমান জানান, ২০১৮ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের কাজে যান। সেখানে কিছুদিন পরই পরিচয় হয় স্মৃতিনূর আতিকার সঙ্গে। ধীরে ধীরে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয় এবং পরবর্তীতে তা প্রেমে রূপ নেয়। অবশেষে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি দুই পরিবারের সম্মতিতে মালয়েশিয়াতেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
তিনি জানান জানান, আমি ছয় মাসের ছুটিতে বাড়িতে এসেছি। এর মধ্যে তিন মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে। আমার সঙ্গে তারও বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। আমি এখন দেশে আছি, তাই সেও আমাদের বাড়িতে এসেছে। ছুটি শেষে আমরা দুজন একসাথে মালয়েশিয়ায় ফিরে যাব।’
স্থানীয়রা বলছেন, প্রায়ই পত্র-পত্রিকায় প্রেমের টানে ভিনদেশি ছেলে-মেয়েদের বাংলাদেশে আসার খবর দেখেন তারা। এখন তাদের গ্রামেই বিদেশি বধূ এসেছে। বিষয়টি গ্রামে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
রিংকুর বাবা জিনারুল মল্লিক বলেন, ‘ছেলের পছন্দকে সম্মান জানিয়ে আমরা বিয়েতে সম্মতি দিয়েছি। আমাদের বউমা ভিনদেশি হলেও সবার সাথে মিলেমিশে চলছে। ঘরের খুঁটিনাটি কাজগুলো সে নিজেই করছে।’
এক ভিনদেশি তরুণীর আগমন এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মালয়েশিয়ান তরুণীকে এক নজর দেখার জন্য রোববার (৩ আগস্ট) সকাল থেকে রিংকু রহমানের বাড়িতে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।
কেএন/টিএ