গাজার ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য ইসরায়েল যেন যথাযথভাবে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে, সেই আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় রোববার (৪ আগস্ট) নিউ জার্সির গলফ রিসোর্ট থেকে ওয়াশিংটনে ফেরার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা চাই ইসরায়েল যেন তাদের (গাজার মানুষকে) খাবার দেয়। আমরা বড় অঙ্কের সহায়তা দিচ্ছি, মূলত খাদ্য কেনার জন্য—যাতে মানুষ খেতে পারে। আমরা চাই না কেউ অভুক্ত থাকুক, আমরা চাই না কেউ অনাহারে মরুক।’
গত শুক্রবার গাজায় মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফের বিতর্কিত ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন’-এর কার্যক্রম পরিদর্শন নিয়েও প্রশ্ন করা হয় ট্রাম্পকে। জবাবে তিনি বলেন, ‘সে দারুণ কাজ করছে।’
তবে উইটকফের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ইসরায়েল গাজায় ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে ট্রাম্প সরাসরি উত্তর দেননি। বলেন, ‘আমি তা বলব না (এটি) দুঃখজনক। দেখুন, তারা যুদ্ধ করছে।’
ট্রাম্প বহুবার দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজায় খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৬০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক খবরে জানা গেছে, বাস্তবে মাত্র ৩ মিলিয়ন ডলার বিতরণ করা হয়েছে।
স্টিভ উইটকফ শুক্রবার দক্ষিণ গাজার একটি সহায়তা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ‘আমার লক্ষ্য ট্রাম্পকে গাজার মানবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দেওয়া এবং একটি কার্যকর পরিকল্পনা তৈরি করা, যাতে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছানো যায়।’
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় বর্বর সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত ৬০ হাজার ৮০০-র বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
নিরবচ্ছিন্ন বোমা হামলায় গাজার পরিকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে এবং সেখানে চরম খাদ্য সংকট ও অনাহারে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
এমকে/টিএ