রাশিয়ার জ্বালানি তেল কেনার মাধ্যমে ভারত ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোকে কার্যকরভাবে অর্থায়ন করছে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করার জন্য নয়াদিল্লির ওপর ওয়াশিংটনের চাপ বাড়ানোর মধ্যেই এ অভিযোগ আনলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী স্টিফেন মিলার।
গত বছরের ২২ অক্টোবর রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে একটি অনানুষ্ঠানিক নৈশভোজের আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
হোয়াইট হাউসের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ এবং ট্রাম্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) যা খুব স্পষ্টভাবে বলেছেন তা হলো রাশিয়ার কাছ থেকে ভারতের তেল কিনে এই যুদ্ধে অর্থায়ন চালিয়ে যাওয়া গ্রহণযোগ্য নয়।’
ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান অংশীদার সম্পর্কে মিলারের এমন বক্তব্য ট্রাম্প প্রশাসনের সবচেয়ে তীব্র সমালোচনা।
রোববার (৩ আগস্ট) ফক্স নিউজের সানডে মর্নিং ফিউচারস অনুষ্ঠানে মিলার আরও বলেন, মানুষ জেনে অবাক হবে যে ভারত মূলত রাশিয়ার তেল কেনার ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এটি একটি আশ্চর্যজনক তথ্য।
সম্প্রতি ভারতের সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। রাশিয়ার তেল ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য ভারতের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়ার কথাও জানান তিনি।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি সত্ত্বেও রাশিয়া থেকেই জ্বালানি তেল কেনা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। ভারতীয় কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মস্কোর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী বাণিজ্যচুক্তি করেছে নয়াদিল্লি, চাইলেই এত সহজে তাই বের হয়ে আসা সম্ভব নয়।
নিউইয়র্ক টাইমসকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই ভারতীয় কর্মকর্তা জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত।
এক কর্মকর্তা জানান, মস্কোর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী জ্বালানি চুক্তি করেছে নয়াদিল্লি। তাই রাতারাতি বাণিজ্য বন্ধ সম্ভব নয়। রাশিয়া বর্তমানে ভারতের সর্ববৃহৎ তেল সরবরাহকারী, যা দেশটির মোট আমদানির প্রায় ৩৫ শতাংশ।
সূত্র: রয়টার্স
এমকে/টিএ