আমরা ফ্যাসিবাদের খপ্পর থেকে রেহাই পেলেও এখন এনজিওবাদের খপ্পরে পড়েছি বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। সম্প্রতি এক বেসরকারি টেলিভিশনে টক শোতে অংশ নিয়ে রাশেদ খান এসব কথা বলেন।
রাজনৈতিক দলের ঐক্য ভাঙন নিয়ে তিনি বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই বিভক্ত রাজনৈতিক অবস্থার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড। তিনি কখনো রাজপথের আন্দোলনে ছিলেন না অথচ আজ তিনি ছাত্রদের দল গঠনের কথা বলেন—যেটা অবাস্তব এবং বিভক্তির জন্ম দিয়েছে।
রাশেদ খান বলেন, ‘আমরা যারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে ছিলাম, আন্দোলনের দায়িত্ব আমাদের ওপর বেশি ছিল। আমরা সবসময় একতার পক্ষে ছিলাম। আজ শহীদ মিনারের প্রোগ্রামে সবাই যেতে চাইলেও কিছু মানুষ বিভাজনের রাজনীতি করছে। তারা মনে করে শুধু তারাই ভালো, বাকিরা খারাপ। এটা একতার বিপরীত।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম, গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিগুলো এক হয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠন করবে। যেখানে সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। সেই সরকার দুই বছর সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া পরিচালনা করে পরে নির্বাচন দিত। কিন্তু আজ তা হয়নি।’
রাশেদ খান অভিযোগ করেন, ‘সরকারের কিছু উপদেষ্টার মধ্যে ক্ষমতার লোভ প্রবল হয়ে উঠেছে। যেমন ফরিদা আক্তার বলেছেন, শেখ হাসিনার বিচার ছাড়া নির্বাচন হতে পারে না। কিন্তু এক বছরে এই সরকার হাসিনার বিচার বিষয়ে কী করেছে? কাউকে গ্রেপ্তার পর্যন্ত করা হয়নি। বরং আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এমপিদের প্রোটেকশন দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের, আন্দোলন করে সেটা আদায় করতে হবে কেন? বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—এই তিনটি একসাথেই চাই আমরা। কিন্তু সরকারের মধ্যে কেউ কেউ ক্ষমতা আকড়ে ধরার প্রবণতায় বিভাজন সৃষ্টি করছে।’
রাশেদ খান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের জন্য যদি কেউ দায়ী হয়, সেটা হবে এই অন্তর্বর্তী সরকার। কারা কারা আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজদের রক্ষা করছেন সে তথ্য আমার কাছে আছে, এখন বলছি না—ছয় মাস পর বলব।’
ইউটি/টিএ