জুলাই-আগস্ট না হলে, আরেক মাস আন্দোলন করে হয়তো সরকার ফেলে দিতো বিএনপি : মির্জা আব্বাস

নির্বাচন পেছানোর পেছনে নানান নাটক ও চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তবে যত চেষ্টাই হোক, শেষ পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকেই নির্বাচন আদায় করবে বিএনপি এমন মন্তব্য করেন তিনি।

সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে যুবদল আয়োজিত ‘জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও আমার না বলা কথা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।

নির্বাচন পেছাতে উদ্দেশ্যমূলক নাটক সাজানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আজকে একটা ঘটনা শুনেছি একজন মেজর দেশে বসে চক্রান্ত করছে দেশে অঘটন ঘটাতে। এগুলো বানানো নাটক যাতে নির্বাচন পেছানো যায়। দেশের মানুষ ১৭ বছর আন্দোলন করেছে নির্বাচনের জন্য, যতই চক্রান্ত করা হোক, সরকারের কাছ থেকে নির্বাচন আদায় করে ছাড়বে বিএনপি। সরকারের পেছনে বাইরে যতই ষড়যন্ত্র চলুক না কেন, এসব ষড়যন্ত্রকে বিএনপি অপ্রতিরোধ্য মনে করে না।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘সতেরো বছর বিএনপি গাছে পানি দিয়েছে, আর ফল খাচ্ছে অন্যরা। এখন বলা হচ্ছে বিএনপি কিছুই না। সরকারে না গেলেও বলা হচ্ছে বিএনপিকে স্বৈরাচার।’

তিনি দাবি করেন, জুলাই আগস্ট না এলে আরেক মাস আন্দোলন করে বিএনপিই স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করতে পারত। তার ভাষায়, ‘১৭ বছর কি বিএনপি আন্দোলন করেনি? যদি জুলাই-আগস্ট না হতো, আরেকটি মাসে হয়তো বিএনপি আন্দোলন করে সরকার ফেলে দিতো। ২০২৩ সালের অক্টোবরে বিএনপির মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা চক্রান্তের কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। সেদিনের জনসমাবেশে যদি সরকার পতনের ঘোষণা দেয়া হতো তাহলে আর এই সরকার থাকতো না।’

দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘প্রয়োজনে আরও সতেরো বছর আন্দোলন করবে বিএনপি তবুও কোনো স্বৈরশাসককে প্রতিষ্ঠিত হতে দেয়া হবে না। এজন্য স্বৈরশাসক বলা হচ্ছে, কয়েকটা বাচ্চা ছেলে-মেয়ের কথায় মনে হচ্ছে তারা যা বলবে তাই দেশের মানুষের মানতে হবে। তারা দেশের মানুষকে মানুষ মনে করে না।

নেতৃত্ববৃন্দকে নেতা মনে করে না। তারাই নিজেরাই নিজেদের নেতা মনে করে। কারণ ক্ষমতার লোভ পেয়ে গেছে, তাই ছাড়তে চায় না।’

পিএ/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালে অবতরণ করল প্রথম বিমান Aug 05, 2025
img
গণআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন কোথাও দেখা যাচ্ছে না : সেলিমা রহমান Aug 05, 2025
img
অফিস কক্ষে বঙ্গবন্ধুর ছবি টানানো সেই প্রধান শিক্ষিকা বরখাস্ত Aug 05, 2025
img
ইচ্ছা পূরণে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়াই দাফন করা হলো সাবেক সেনাপ্রধান হারুনকে Aug 05, 2025
img
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রূপকার ছিল দেশের প্রতিটা মানুষ : আইন উপদেষ্টা Aug 05, 2025
img
জামায়াত আমিরের দ্রুত সুস্থতা কামনায় চীন, পাকিস্তান ও ফিলিস্তিন দূতাবাসের শুভেচ্ছা Aug 05, 2025
img
পরিচয় গোপন রেখে বন্ধুকে কিডনি দান Aug 05, 2025
img
ডাকসুর ভোটার তালিকায় তানজিম সাকিব Aug 05, 2025
img
সত্য প্রকাশে এক চুলও পিছপা হবো না : আব্দুল কাদের Aug 05, 2025
img
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রীর সফরে ১৯৭১ সালের বিষয় তোলা হবে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Aug 05, 2025
img
মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ অনুষ্ঠানে যাবেন বিএনপির ৫ নেতা Aug 05, 2025
img
এক বছরের মধ্যে তারা বিপ্লবীর পুরো চরিত্রটা নষ্ট করে দিয়েছে : রনি Aug 05, 2025
img
রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অনেকেই অবৈধভাবে বয়স্ক ভাতা পেয়েছেন : প্রধান উপদেষ্টা Aug 05, 2025
img
আসুন এমন বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যেখানে স্বৈরাচারের ঠাঁই হবে না : প্রধান উপদেষ্টা Aug 05, 2025
img
পুরনো বন্দোবস্ত জায়গা করে নেয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে : সাকি Aug 05, 2025
img
জুলাই-আগস্ট না হলে, আরেক মাস আন্দোলন করে হয়তো সরকার ফেলে দিতো বিএনপি : মির্জা আব্বাস Aug 04, 2025
img
ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারদের ক্ষমতায়ন ও দেহরক্ষী দিতে চায় ইসি Aug 04, 2025
img
ভারতের ওপর ‘উল্লেখযোগ্য হারে’ শুল্কারোপের কড়া বার্তা ট্রাম্পের Aug 04, 2025
img
সত্য হলো সালাহউদ্দিন আহমেদের কথা, পোস্ট ডিলিট করলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম Aug 04, 2025
img
ফ্যাসিবাদ থেকে রেহাই পেয়ে এখন এনজিওর খপ্পরে পড়েছি : রাশেদ খান Aug 04, 2025