অনেকেই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে বয়স্ক ভাতা পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সমাজসেবা অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, এক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব বন্ধ করতে হবে। বয়স্ক ভাতায় জালিয়াতি বন্ধে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী ভাতা দেওয়ার সুপারিশ করে তিনি বলেন, বয়স অনুযায়ী এনআইডির তথ্য অনুসারে ভাতা দিতে হবে। এটাই প্রতারণা বন্ধের একমাত্র উপায়।
প্রধান উপদেষ্টা দেশের প্রবীণ নাগরিক ও কন্যাশিশুদের জন্য সেবার অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে পুরোনো পদ্ধতির সংস্কার ও ডিজিটাল স্বচ্ছতা বৃদ্ধির জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরকে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। বৈঠকে বয়স্ক ভাতার দুর্নীতি, প্রশাসনিক কাঠামোর দুর্বলতা ও সেবাপ্রাপ্তির সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা হয়।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এই মন্ত্রণালয় এখনো ২০১৩ সালের পুরোনো মডেলে চলছে। এই ব্যবস্থার এখনই সংস্কার করতে হবে। এখানে অনেক ভুল তথ্য আছে, মানুষ বিভ্রান্ত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়। সঠিক তালিকা তৈরি ও বাস্তবসম্মত সমাধান দরকার।
রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ভাতা বণ্টনে অনিয়মের বিষয় তুলে ধরে বলেন, অনেকেই রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে ভাতা পেয়েছেন। এই পক্ষপাতিত্ব বন্ধ করতে হবে। বয়স অনুযায়ী এনআইডির তথ্য অনুসারে ভাতা দিতে হবে, এটাই প্রতারণা বন্ধের একমাত্র উপায়।
কন্যাশিশুদের ক্ষমতায়নের ওপর জোর দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যদি কোনো দক্ষতাবৃদ্ধির প্রোগ্রাম থাকে, তাহলে কন্যাশিশুরা যেন অগ্রাধিকার পায়। আমাদের তাদের ওপর আলাদা করে মনোযোগ দিতে হবে।
সেবার স্বচ্ছতা ও নাগালের জন্য ডিজিটাল রূপান্তরের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, এই মন্ত্রণালয়ের সব সেবা ও তথ্য একসঙ্গে পাওয়া যাবে- এমন একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা উচিত। মানুষকে যেন ঘুরে বেড়াতে না হয়, কোথায় কী সেবা পাওয়া যায়- তা সহজে যেন জানতে পারে।
পিএ/টিএ