জুলাই বিপ্লবে প্রবাসীদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ: চরমোনাই পীর

শায়েখে চরমোনাই বলেছেন, জুলাই বিপ্লব ব্যাহত হলে অন্যদের এক্সিট পয়েন্ট থাকলেও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের এক্সিট পয়েন্ট ছিল না। রোববার (৩ আগস্ট) মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালামাপুরে হোটেল জি-টাওয়ারে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তৌফিকুর রহমান মাহফুজের সভাপতিত্বে ও ওমর ফারুক সৈকতের সঞ্চালনায় ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মালয়েশিয়া শাখার আয়োজনে জুলাই শহীদদের স্মরণ ও আহতদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়েখে চরমোনাই)।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ জুলাই আন্দোলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রাজপথে ছিল। যদি আন্দোলন ব্যাহত হতো, অন্যদের এক্সিট পয়েন্ট থাকলেও, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীদের কোনো এক্সিট পয়েন্ট ছিল না।

তিনি বলেন, গত বছরের ৩ ও ৪ আগস্ট যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠক করেছে, আজ তারাই নিজেদের জুলাই বিপ্লবের কর্ণধার দাবি করছে।

প্রবাসীদের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবে প্রবাসীদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। তারা রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে শেখ হাসিনার রক্ত শুকিয়ে দিয়েছিলো, যা বিপ্লব সফল করতে সহায়ক হয়েছে। পরিশেষে তিনি শিক্ষার্থীদের দেশের কল্যাণে সর্বাত্মকভাবে সচেতন ও সক্রিয় থাকার আহ্বান জানান।

আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির শুরা সদস্য বশির ইবনে জাফর।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ মালয়েশিয়া শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুফতি আমিরুল ইসলাম, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি জিএম রুহুল আমিন, ইউনিভার্সিটি অফ মালায়ার প্রফেসর ড. মেহেদী মাসুদ, ইউনিভার্সিটি উতারা মালয়েশিয়ার পিএইচডি গবেষক ড. গাজী আবু হোরায়রা, জাতীয় নাগরিক পার্টির মালয়েশিয়া প্রতিনিধির সদস্য মো. এনামুল হক, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি তরুণদের সংগঠন বাংলাদেশি ইয়ুথ অ্যালায়েন্স মালয়েশিয়ার ঊর্ধ্বতন নেতা ও ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মালয়েশিয়া শাখার নেতারা।

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আইজিপির ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ভিডিও, সতর্ক করল পুলিশ সদর দপ্তর Aug 05, 2025
img
গুলি চালিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছিল ফ্যাসিবাদী সরকার : প্রধান উপদেষ্টা Aug 05, 2025
img
সিরাজগঞ্জে পুকুরে পড়ে প্রাণ গেল ১ জনের Aug 05, 2025
img
অনিয়মের অভিযোগে ‘বিনিময়’ প্ল্যাটফর্মকে বাতিল করল বাংলাদেশ ব্যাংক Aug 05, 2025
img
ই-রিটার্নে প্রথম দিনেই ১০ হাজার রিটার্ন দাখিল Aug 05, 2025
img
কোটা পদ্ধতি ছিল দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির হাতিয়ার: প্রধান উপদেষ্টা Aug 05, 2025
img
এক ওভাল টেস্টেই ইংল্যান্ড ও ভারতের ২১ রেকর্ড! Aug 05, 2025
‘এক-এগারোর বাঘ’ দিয়ে ব্যর্থতা আড়াল করছে সরকার : নুর Aug 05, 2025
img
শুল্ক বাড়ানোর ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে কড়া জবাব ভারতের Aug 05, 2025
img
ওপেন সোর্স সফটওয়্যারে ২০টি নিরাপত্তা ত্রুটি শনাক্ত করল গুগলের এআই Aug 05, 2025
যে ৫টি কাজ করলে রিজিক বাড়ে | ইসলামিক জ্ঞান Aug 05, 2025
img
ব্যতিক্রমধর্মী এক উদ্যোগ নিল ডেনমার্কের আলবর্গ চিড়িয়াখানা Aug 05, 2025
জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠান বর্জনের ডাক হান্নান মাসউদের Aug 05, 2025
img
নেত্রকোনায় বালুবোঝাই নৌকা ডুবে নিখোঁজ ২ Aug 05, 2025
img
৫ আগস্ট হয়ে উঠুক গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার দিন : তারেক রহমান Aug 05, 2025
img
সরকার আসলে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে : মাসুদ কামাল Aug 05, 2025
img
সতীর্থদের ‘অলস’ বললেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অধিনায়ক ব্রুনো ফার্নান্দেস Aug 05, 2025
img
জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অভিনন্দন Aug 05, 2025
img
স্প্যানিশ ক্লাব বিলবাওকে একদিনে ২ বার হারাল লিভারপুল Aug 05, 2025
img
ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল হুতি Aug 05, 2025