২০১৮ সালের পর ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জয় পায়নি ইংল্যান্ড। এইবারও শেষ পর্যন্ত পেরে উঠতে পারেনি ইংল্যান্ড। ওভালের পঞ্চম টেস্টে মাত্র ছয় রানের ব্যবধানে হেরে যাওয়ায় সিরিজটি ২-২ ব্যবধানে ড্র হয়েছে। শেষ ম্যাচে পরাজয়ের পরেও ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস দলের প্রতি তার গর্ব প্রকাশ করেছেন। তিনি দলের সাহসিকতা, আবেগ এবং লড়াইয়ের প্রশংসা করেছেন।
স্টোকস বলেন,‘দুই দলই পাঁচ দিন ধরে সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করেছে। আমরা জয় পাইনি, এটা দুঃখজনক। কিন্তু আমি দলের উপর গর্বিত। ছেলেরা ভাঙা আঙুল, পা নিয়েও মাঠে লড়েছে। এটি প্রমাণ করে যে দেশের হয়ে খেলার মানে তাদের কাছে কী।’ তিনি আরও বলেন,‘ক্রিস ওকসের কোনো দ্বিধা ছিল না। সে আগের দিনই ভাবছিল কীভাবে ব্যাটিং করবে। এমন সিরিজ যেখানে আবেগ অনেক বেশি থাকে।’
ইংলিশ অধিনায়ক আরও জানান,‘আমাদের পেসাররা দুর্দান্ত লড়াই করেছে বিশেষ করে যখন একজন শুরুতেই ছিটকে যায়, তখন বাকিদের কাজ অনেক বেড়ে যায়। তবে সবাই নিজেদের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছে। এটাই চেয়েছিলাম।’
অন্যদিকে, ভারতীয় অধিনায়ক শুভমান গিলের কণ্ঠে ছিল গর্ব ও আত্মবিশ্বাস। তরুণ ভারতীয় দলটির নেতৃত্বে গিল ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজে জয়লাভ করেছেন। গিল বলেন,‘পুরো সিরিজেই দুই দল নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। চতুর্থ ও পঞ্চম দিনে কখনও বোঝা যায়নি কে জিতবে। এটি দেখায় যে, দুই দলই কতটা প্যাশন নিয়ে খেলেছে। সিরাজ এবং প্রসিদ্ধ যেভাবে বল করেছে তখন অধিনায়কত্ব করা সহজ হয়ে যায়। তারা সত্যিই বলকে কথা বলিয়েছেন।’
ভারতীয় আরও বলেন,‘চতুর্থ দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর থেকেই আমরা জানতাম, ইংল্যান্ড চাপের মধ্যে রয়েছে। আমরা শুধু চেয়েছিলাম তাদের ওপর সেই চাপ ধরে রাখতে। কারণ চাপ থাকলে, মানুষ অনেক সময় নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারে না। আমরা চাইছিলাম তারা প্রতি রানেই সেটি অনুভব করুক।’
গিল সিরাজের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন,‘সিরাজ একজন অধিনায়কের স্বপ্ন। পাঁচটি টেস্টেই যেভাবে বল করেছে, তা অতুলনীয়। প্রতিটি স্পেলে নিজেকে নিংড়ে দিয়েছে। প্রতিটি অধিনায়ক এমন খেলোয়াড় চায়, আর আমরা ভাগ্যবান যে আমাদের দলে সে আছে।’
সিরিজ ড্র হলেও, গিল মনে করেন ২-২ ফলটাই যথার্থ। তিনি বলেন,‘সব ম্যাচই হাড্ডাহাড্ডি ছিল। পাঁচ দিনে গিয়ে বোঝা যেত না, কে জিতবে। তাই ২-২ স্কোরলাইনটি যথার্থ।’ নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে গিল বলেন,‘এই সিরিজের আগেই আমি কিছু টেকনিক্যাল এবং মেন্টাল দিক নিয়ে কাজ করেছি। আমার লক্ষ্য ছিল এই সিরিজের সেরা ব্যাটার হওয়া। সেটা করতে পেরে খুব ভালো লাগছে।’
গিল দলের প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ করে বলেন,‘আমি যা শিখেছি এই সিরিজে, তা হলো—আমাদের দল কখনও হাল ছাড়ে না।’
টিকে/