ডেনমার্কের একটি চিড়িয়াখানা একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে। সুস্থ কিন্তু অপ্রয়োজনীয় পোষা প্রাণী দান করার জন্য চিড়িয়াখানাটি সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এসব প্রাণীদের চিড়িয়াখানার মাংসভোজী প্রাণীদের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
চিড়িয়াখানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব প্রাণীকে চিড়িয়াখানার প্রশিক্ষিত কর্মীরা মানবিকভাবে মেরে ফেলবেন।
আলবর্গ চিড়িয়াখানা জীবিত মুরগি, খরগোশ এবং গিনি পিগ দান করার আহ্বান জানিয়েছে।
এমনকি চিড়িয়াখানা জীবিত ঘোড়া দানের সুযোগও দিয়েছে। ঘোড়া দাতারা নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করলে কর ছাড় সুবিধাও পেতে পারেন। চিড়িয়াখানা ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে জানায়, তাদের দায়িত্ব হলো প্রাণীদের প্রাকৃতিক খাদ্য শৃঙ্খল অনুকরণ করা।
ছোট খামার প্রাণীরা তাদের শিকারি প্রাণীদের খাদ্যতালিকায় গুরুত্বপূর্ণ অংশ জোগায়। বিশেষ করে ইউরেশিয়ান লিন্স-এর জন্য এই ধরনের খাবার প্রকৃতির কাছাকাছি খাবারের মতো। এ ছাড়াও চিড়িয়াখানায় রয়েছে সিংহ ও বাঘের মতো শিকারি প্রাণী।
সপ্তাহের কর্মদিবসে এই ছোট প্রাণীগুলো দান করা যাবে।
তবে আগাম অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া চারটির বেশি একসঙ্গে দান করা যাবে না। চিড়িয়াখানার ওয়েবসাইটে একটি বাঘের মাংস খাওয়ার ছবি পোস্ট করে ঘোড়া দানের নিয়মাবলী উল্লেখ করা হয়েছে। দানের জন্য ঘোড়ার পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং পূর্ববর্তী ৩০ দিনের মধ্যে কোনো চিকিৎসা না নেওয়ার প্রমাণ থাকতে হবে। এসব শর্ত পূরণ হলে ঘোড়া দাতারা কর ছাড়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
চিড়িয়াখানার ডেপুটি ডিরেক্টর পিয়া নিলসেন এক বিবৃতিতে জানান, বহু বছর ধরেই তারা মাংসভোজী প্রাণীদের ছোট খামার প্রাণী দিয়ে খাবার দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘মাংসভোজী প্রাণী পালনের ক্ষেত্রে তাদের জন্য মাংস দেওয়া প্রয়োজন, যা চামড়া, হাড়সহ হলে সবচেয়ে ভালো হয়-এটা তাদের জন্য প্রাকৃতিক খাদ্যের মতো।’
চিড়িয়াখানার জন্য দানযোগ্য প্রাণীগুলোর মধ্যে রয়েছে মুরগি, খরগোশ, গিনি পিগ, ঘোড়া।
সূত্র : বিবিসি