রাজনীতিতে অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে কি দেশ ছাড়তে হবে— এমন প্রশ্ন করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর শেখ হাসিনা ’৮৬ থেকে এ পর্যন্ত অন্তত সাড়ে তিন হাজার সংসদ সদস্যকে মনোনয়ন দিয়েছেন। সবাই গোলাম মাওলা রনি হতে পারেনি। গোলাম মাওলা রনিকে যদি সাড়ে তিন হাজার লোকের সঙ্গে ইকুয়াল করা হয় তাহলে হবে না।
সম্প্রতি এক টেলিভিশন টক শোতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম মাওলা রনি বলেন, আমি দলীয় যে কর্মকাণ্ড, আদর্শ সেটা মানব। কৃতজ্ঞ থাকব। কিন্তু শেয়ার মার্কেটে যে চুরি হলো, রাহাজানি হলো, ইলিয়াস আলী গুম হলো— এটা কেন মানতে যাব? আমি কেন এখানে চুপ থাকব? এই যে কাদের মোল্লাকে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দেওয়া হলো, সঙ্গে সঙ্গে বললাম এই কাদের মোল্লা সেই কাদের মোল্লা নয়।
যেদিন ফাঁসি হবে সেদিনই আমি এ কথা বলেছি। আমি তখন সংসদ সদস্য। এটার জন্য আমাকে সমালোচিত হতে হয়েছে।
রনি বলেন, একটা সময় দেখলাম সেখানে থাকতে থাকতে পুরো রুমটা খুব বেশি গরম হয়ে গেল।
তখন মনে হলো আনএক্সপেক্টেড জায়গায় আনহ্যাপি হয়ে থাকার চেয়ে বরং একটা ভিন্ন প্ল্যাটফরমে চলে যাওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ। আমি এখন একটা ভিন্ন জায়গায় আসছি। ইট ডাজ নট মিন আওয়ামী লীগে আমার যে রাজনীতির শুরুটা, আমার আজকের অবস্থানে আসার যে প্ল্যাটফরমটা তৈরি হয়েছিল, তার জন্য আমি আনগ্রেটফুল। কখনোই না।
রনি আরো বলেন, সেই সঙ্গে তারা যে কুকর্মগুলো করেছে, সেগুলো পয়েন্ট আউট করা, প্রতিবাদ করা নাগরিক হিসেবে আমার দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
এ কারণে যেন আগামী দিনে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা আওয়ামী লীগের মতো এই ভুলগুলো না করে। আমরা বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে যে সমাজকে দেখেছি, সেই পরিপ্রেক্ষিতে মনে হচ্ছে এই প্রতিবাদ করাটাও আমাদের জন্য ফরজ, তার সঙ্গে সঙ্গে কৃতজ্ঞতা রাখাটাও ফরজ।
এমআর/টিকে