বয়স ১৮ হওয়ার আগেই রিয়াল মাদ্রিদ তাকে কিনে রেখেছিল। ব্রাজিলের ঘরোয়া ফুটবলে দুর্দান্ত নৈপুণ্যের জন্য গায়ে সেটেছিল বিস্ময়বালকের খেতাব। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদে এসে তারার ভিড়ে ম্লান এন্দরিক ফেলিপে। কার্লো আনচেলত্তির অধীনে সেভাবে সুযোগই পাননি তিনি। নতুন কোচ শাবি আলনসোর দলেও এন্দরিকের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। ক্লাব বিশ্বকাপে গঞ্জালো গার্সিয়ার উত্থানে সুযোগ আরও কমে এসেছে এই ব্রাজিলিয়ানের। এমন অবস্থায় রিয়ালে থাকা হবে তো এন্দরিকের?
রিয়াল মাদ্রিদের নতুন কোচ শাবি আলনসোর দলে এমবাপ্পে ও ভিনিসিউসের সঙ্গে আক্রমণভাগের মূল খেলোয়াড় হতে পারেন ক্লাব বিশ্বকাপে আলো ছড়ানো গঞ্জালো গার্সিয়া বা নতুন যোগ দেয়া ফ্র্যাঙ্কো মাস্তানতুয়ানো। এন্দরিক বিবেচনায় থাকবেন এদের পরে। ফলে প্রথম একাদশে খুব বেশি সুযোগ যে পারেন না সেটা মোটামুটি নিশ্চিত। তাই নিয়মিত খেলার সুযোগ করে দিতে এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারকে ধারে অন্য ক্লাবে খেলতে পাঠানোর কথা ভাবছিল লস ব্লাঙ্কোরা।
বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে তিয়েম্পো দে লুয়েগো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চলতি দলবদলে রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার দ্বারপ্রান্তে ছিলেন এন্দরিক। লা লিগার আরেক ক্লাব রিয়াল সোসিয়েদাদ এই ১৯ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ানকে ধারে দলে ভেড়ানোর জন্য আলোচনা শুরু করেছিল। বাস্ক ক্লাবটিতে যোগ দেয়ার ব্যাপারে এন্দরিক ও রিয়াল মাদ্রিদ উভয়ই সম্মত হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে চুক্তি ভেস্তে গেছে।
এন্দরিককে ধারে দলে ভেড়ানোর বাস্ক ক্লাবটি ক্লাব বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়েই প্রস্তাব দিয়েছিল। চুক্তি শেষ পর্যন্ত হলে এক বছরের জন্য ক্লাবটিতে যোগ দিতেন এই ১৯ বছর বয়সী। কিন্তু ক্লাব বিশ্বকাপ চলাকালীন এন্দরিক হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে পড়লে সোসিয়েদাদ চুক্তির আলাপ থেকে সরে আসে।
এই চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পর আপাতত এন্দরিক আর ক্লাব ছাড়ছেন না। লস ব্লাঙ্কোদের বিশ্বাস এই মৌসুমে সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে পারবেন এই ব্রাজিলিয়ান।
আপাতত ইনজুরি থেকে সেরে ওঠার মিশনে আছেন এন্দরিক। আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ মাঠে ফিরতে পারেন তিনি।
ইউটি/টিএ