নির্বাচিত সরকার ছাড়া জনগণের মুক্তি কারও পক্ষে সম্ভব নয় : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘জনগণকে মুক্তি দিতে হলে নির্বাচিত সরকার দরকার। নির্বাচিত সরকার ছাড়া জনগণের মুক্তি কারও পক্ষে সম্ভব নয়।’

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বাসরোড এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রামে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। দেশের মানুষ তাঁর বিচার চায়। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, যাঁরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ও যারা সহযোগিতা করেছিলেন, তাদেরও বিচার করতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা। বাংলাদেশের মানুষ যাতে ভোটদান থেকে বঞ্চিত না হয়। ফ্যাসিবাদী সরকার পুলিশ বাহিনী দিয়ে দিনের ভোট রাতে করেছে। তারা এ দেশের মানুষকে রক্তাক্ত করেছে। আজকের আনন্দের দিনে আমাদের বুকে ব্যথা ও যন্ত্রণা আছে। কারও ভাই, কারও বন্ধু আজ নেই। তারা এ দেশের মানুষের ভোটারাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়েছেন।’

১৭ বছরের ঘুষ দুর্নীতি এখনো চলছে দাবি করে গয়েশ্বর রায় বলেন, এখনো ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। অতীতে যারা অন্যায় করেছেন, তারা পদচ্যুত হয়েছেন। অনেকে দেশ ছেড়েছেন।

অন্যায়কারীকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনি নির্বাচন কখন দেবেন? নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে, তত বেশি ষড়যন্ত্র চলবে।

আওয়ামী লীগ এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ সরকারের দায়িত্ব অবিলম্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা। এ সরকার যদি ব্যর্থ হয়, তবে জাতির ভবিষ্যৎ বলতে কিছুই থাকবে না। তাই অবিলম্বে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন করলে আমরা আপনাকে ফুলের মালা দেব। এর ব্যত্যয় ঘটলে আপনি কলঙ্কিত হবেন।’

এমকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ২ দিনে ৩৮৪৮ মামলা ডিএমপির Oct 10, 2025
img
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার Oct 10, 2025
img
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ম্যাচ অফিসিয়ালদের তালিকা প্রকাশ Oct 10, 2025
img
প্রসেনজিৎকে নিয়ে আফসোস বাবা বিশ্বজিতের Oct 10, 2025
img
আমরা কারো সঙ্গে জোট বা আসন সমঝোতা করিনি : নুর Oct 10, 2025
img
ফিলিপাইন-ইন্দোনেশিয়ায় সুনামির আশঙ্কা কেটেছে, দেখা দিচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র Oct 10, 2025
img
শান্তি পরিকল্পনায় সাফল্যের জন্য ‘বন্ধু’ নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পকে মোদির অভিনন্দন Oct 10, 2025
img
২ হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলেও ১ জনকে ছাড়বে না ইসরায়েল Oct 10, 2025
img
টুইঙ্কেল আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইত না: অক্ষয় Oct 10, 2025
img
বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ Oct 10, 2025
img
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল ২০ দল Oct 10, 2025
img
চলচ্চিত্রে স্বজনপ্রীতির সুযোগ পেয়েছেন তিনিও, স্বীকারোক্তি রণবীরের Oct 10, 2025
img
ইন্দোনেশিয়ায় সুনামি শুরু! Oct 10, 2025
img
শান্তিতে নোবেল ঘোষণা আজ Oct 10, 2025
img
ইসরায়েলে ২০০ সেনা পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র Oct 10, 2025
img

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ

৩ ম্যাচ হেরে জটিল সমীকরণে পাকিস্তানের সেমিফাইনাল আশা Oct 10, 2025
img
ট্রাম্পকে নোবেলের জন্য মনোনীত করবে ইউক্রেন Oct 10, 2025
img
সাবেক এমপি ইকবাল ও তার ছেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা Oct 10, 2025
img
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল রাবি শিক্ষকের, সহকর্মী আহত Oct 10, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত ঢাকায় Oct 10, 2025