বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেছেন, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছে। আজকে ভারতে বসে তারা ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখতে চায় না। এই হত্যাকারী, ফ্যাসিস্ট, বাকশালিদেরকে বাংলাদেশে আর রাজনীতি করার কোনো অধিকার দেওয়া হবে না।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১২টায় রাজবাড়ী শহীদ স্মৃতি চত্বরে গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বিজয় মিছিল পরবর্তী এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই আরও সামনে এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি বলেন, গতকাল আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের মাস ঘোষণা করেছেন। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হবে। তাই আপনারা সবাই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হন। যে লড়াই করেছি ভোট দেওয়ার জন্যে, যে লড়াই করেছি আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে ফেব্রুয়ারি মাসে আরেকবার সেই লড়াই করতে হবে। সেই লড়াই হবে ভোটের লড়াই। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের ১৮ কোটি মানুষ একসঙ্গে সেই লড়াই করবে। সেই লড়াইয়ে আপনারা থাকবেন। সেই লড়াইয়ে আপনারা শহর, গ্রাম, মাঠে ময়দানে প্রস্তুত হবেন। সেই নির্বাচনে আমরা একসঙ্গে পায়ে পায়ে মিছিল করব। সেই নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা ধানের শীষকে বিজয়ী করে ঘরে ফিরব।
সমাবেশে জেলা বিএনপির সদস্য এ মজিদ বিশ্বাসের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নঈম আনসারী, সাবেক সদস্য সচিব এবিএম মঞ্জুরুল আলম দুলাল, পাংশা উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মাহমুদুল হক রোজেন, বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন খান, গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সুলতানুর ইসলাম মুন্নু, পাংশা পৌরসভা বিএনপির নেতা শওকত সরদার, পাংশা উপজেলা বিএনপির নেতা ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান রাজা, রাজবাড়ী জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খায়রুল আনাম বকুল প্রমুখ।
এর আগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের নেতৃত্বে শহরের আদর্শ মহিলা কলেজে বকুল তলা থেকে একটি বিজয় মিছিল বের হয়। মিছিলটি প্রধান সড়ক দিয়ে বাজার প্রদক্ষিণ করে রেলগেট শহীদ স্মৃতি চত্বরে এসে শেষ হয়।
এসএন