বড়দের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এবার ছোটদের পালা। অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলতে হলে বাছাইপর্বে গ্রুপসেরা হতে হবে বাংলাদেশের মেয়েদের। ‘এইচ’ গ্রুপের রানার্সআপ হলেও অবশ্য সুযোগ মিলবে। তবে সেটা শর্তসাপেক্ষে।
আজ ভিয়েনতিয়েনের নিউ লাওস জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলতে নেমে দারুণ শুরুই পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে স্বাগতিক লাওসের বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে রয়েছে। গোলটি করেছেন মোসাম্মৎ সাগরিকা।
ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশ আধিপত্য দেখালেও গোলের তেমন সুযোগ পাচ্ছিল না। উল্টো ১১ মিনিটে স্বাগতিক লাওসের মেয়েরাই পেয়েছিল। তবে গোলরক্ষক স্বর্ণা রানি মণ্ডল ও রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের দৃঢ়তায় রক্ষা পায় বাংলাদেশ। স্বর্ণা দারুণ সেভ করলে ফিরতি সুযোগ পায় লাওসের আক্রমণভাগের এক খেলোয়াড়। তিনি ফিরতি শট নিলে অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার বাঁচিয়ে দেন।
১৪ মিনিটে অবশ্য বাংলাদেশকে লিড এনে দেওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন তৃষ্ণা। সতীর্থ সিনহা শিখার পাস বক্সের মধ্যে পেয়েও তিনি ভালোভাবে শট নিতে না পারায় গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। ১৭ মিনিটে লাওসও এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশি গোলরক্ষককে একা পেয়ে গোলবারে বল রাখতে পারেননি খোনেসাভান চৌম্মানিভং। বাইরে মারেন তিনি।
ফিরতি মিনিটে পূজা দাস দারুণ এক দূর পাল্লার শট নিয়েছিলেন। তবে ডি বক্সের অনেক বাইরে থেকে নেওয়া তার জোরালো শট জালে জড়ানোর আগে লাওসের গোলরক্ষক থংসামুদ ভংখাম্পান কর্নারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন।
তবে ৩৬ মিনিটের এক সেটপিসকে আটকাতে পারেননি লাওসের গোলরক্ষক। তাতে জালের দেখা পায় বাংলাদেশ। গোলটি করেন মোসাম্মৎ সাগরিকা। শান্তি মার্ডির কর্নারকে হেডে জালে জড়ান সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে দারুণ খেলে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করা সাগরিকা।
বিরতিতে যাওয়ার ৪ মিনিট আগে আরেকটি গোল পেয়েই গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ভাগ্যকে পাশে পায়নি আফঈদা-সাগরিকারা। ৪১ মিনিটে বক্সের কাছাকাছি থেকে নেওয়া শিখার শটটি যে বারে লেগে ফিরে আসে। পরে আর কোনো গোল না হলে বিরতিতে যায় দুই দল।