শেখ হাসিনা পৃথিবীর অন্যতম নিষ্ঠুর শাসক ছিলেন : মেজর হাফিজ

নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে উন্নয়ন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন (বীরবিক্রম)। 

বুধবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজশাহীতে জেলা ও মহানগর বিএনপি অয়োজিত ‘জুলাই- আগস্টে শহীদদের স্মরণে গণ-অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক বিজয় র‌্যালি’ অনুষ্ঠানের সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয় রাজশাহী নগরীর আলুপট্টি মোড়ে বার্তা ভবনের সামনে।

মেজর হাফিজ উদ্দীন বলেন, ‘শেখ হাসিনা পৃথিবীর অন্যতম নিষ্ঠুর শাসক ছিলেন। 

এমন কোনো অত্যাচার নেই, তিনি এ দেশের মানুষের ওপর করেননি। শেখ পরিবারের ৩৪ জন সংসদ সদস্য ছিল, যাদের কেই নির্বাচিত ছিল না। যত ধরনের ভোট চুরির ব্যবস্থা আছে সবই করেছেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী সরকার বহু মানুষ গুম-খুন করেছে।

বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ পাচার করেছে। কিন্তু ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে দেশ হাসিনার স্বৈরাশাসন মুক্ত হয়েছে। বিএনপির প্রায় ৫০০ নেতাকর্মী এ আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন।’

মেজর হাফিজ প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, ‘আমাদের নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডন বৈঠকে যে ওয়াদা করেছিলেন তিনি তা রেখেছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি আশা করেন ঘোষিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করবে।’

জামায়াতের দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি স্বাধীনতাবিরোধী দল আছে, যাদের মানুষ ভোট দেবে না, তাই তারা ভোট না হোক—সেটিই চাইছে। এ এক বছরে তারা কিছুটা ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছে সে কারণে চাইছে এ সরকার থেকে যাক। কিন্তু নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে উন্নয়ন হবে না। এখন বিএনপি নির্বাচনে জিতবে এবং দেশ পরিচালনা করবে। কিন্তু যদি সাধারণ মানুষকে নির্যাতন করা হয়, দুর্নীতি করা হয় তাহলে আমাদের পরিণতিও আওয়ামী লীগের মতো হবে। তাদের পতন হয়েছে মানুষের ওপর জুলুম, নির্যাতন, বেপরোয়া দুর্নীতি ও দেশের সম্পদ লুট করার জন্য।’ 

রাজশাহী বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ইশার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুন অর রশিদ মামুনসহ জেলা ও মহানগর বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী। 

রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা র‌্যালিতে যোগ দেন। সমাবেশ শেষে র‌্যালি সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে এসে শেষ হয়। সমাবেশটি সড়কের ওপর অনুষ্ঠিত হওয়ায় শহরের বিভিন্ন রাস্তায় যানজোটের সৃষ্টি হয়।

ইউটি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আবু ত্বহার পক্ষে সাফাই দিয়ে তোপের মুখে আইনুল হক কাসিমী Oct 14, 2025
img
বাজারে সরবরাহ নিশ্চিতে ১৫ হাজার টন আখের চিনি কিনবে সরকার Oct 14, 2025
img
শীর্ষ পর্যায়ে দুর্নীতি রেখে দেশকে ভালো করা সম্ভব নয় : দুদক চেয়ারম্যান Oct 14, 2025
img
পদ্মা সেতুর জাজিরা অংশে সড়ক অবরোধ Oct 14, 2025
বিগ বস ১৯-এর মঞ্চে অরিজিৎ-সালমান সম্পর্কের নতুন অধ্যায় Oct 14, 2025
'জয় পরাজয় মেনে নেয়ার মানসিকতা রয়েছে' শিবিরের ভিপি প্রার্থী জাহিদ Oct 14, 2025
img
দশম বারের চেষ্টায় সফলভাবে উড্ডয়ন মাস্কের স্পেসএক্স Oct 14, 2025
img
ফেসবুক-টিকটক থেকে টাকা কামানো আর ভিক্ষা করার মাঝে তফাৎ নেই : শাহেদ আলী Oct 14, 2025
img
জকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা বৈঠক বুধবার Oct 14, 2025
img
নির্বাচনটা মোটা দাগে এই সরকারকে দিয়ে হওয়া উচিত : জাহেদ উর রহমান Oct 14, 2025
img
নির্বাচনটা মোটা দাগে এই সরকারকে দিয়ে হওয়া উচিত : জাহেদ উর রহমান Oct 14, 2025
img
ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এটা প্রতারণা: রিজভী Oct 14, 2025
img
রোমে ২ হাজার বছরের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা পরিদর্শনে ড. ইউনূস Oct 14, 2025
img
বগুড়া-রাজশাহীতে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ Oct 14, 2025
img
শিক্ষকদের ন্যায্য সব দাবি মেনে নিন : ব্যারিস্টার ফুয়াদ Oct 14, 2025
img
গভীর সমুদ্র মৎস্য আহরণে এফএও মহাপরিচালকের সহায়তার আশ্বাস Oct 14, 2025
img
এবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতির পথে ইতালি! Oct 14, 2025
img
৪-৫ জন উপদেষ্টা একটি বিশেষ দলের পক্ষে কাজ করছে: ডা. তাহের Oct 14, 2025
img
রুক্মিণীর নতুন ছবি ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’-এ চিরঞ্জিতের আবেগঘন প্রশংসা Oct 14, 2025
img
অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের ‘সেনা আইনে’ বিচার দাবি এক্স-ফোর্সেস অ্যাসোসিয়েশন Oct 14, 2025