জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনের আসলে বারোটা বেজে গেছে। আপনি যে ইলেকশনটা করতেছেন, উনি (ড. ইউনূস) বলতেছেন, ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ নির্বাচন উনি দেবেন। উনি কিন্তু বলেছেন এই কথাটা, উচ্চারণ করেছেন। কী বুঝে বলেছেন, এটা আমি জানি না।
উনি ইতিহাসও বুঝেন কি না জানি না, সর্বশ্রেষ্ঠ বুঝেন কি না আমি জানি না। একটা নির্বাচন হতে যাচ্ছে, আপনি এটা মাথায় রাখেন, বাংলাদেশে মিনিমাম এক কোটি ভোটার আছে যারা জীবনে কোনোদিন নৌকা মার্কা ছাড়া অন্য কোনো মার্কায় ভোট দেননি। এদের জন্য আপনি কী বিকল্প রাখছেন? নির্বাচনটা কার জন্য করবেন? মানে পলিটিক্যাল পার্টির জন্য, না কি সাধারণ মানুষের জন্য? নির্বাচন যদি সাধারণ মানুষের জন্য হয়, তাহলে যে মানুষগুলো যাকে ভোট দিতে চান যখন সেই মার্কাটা ভোটে না পাবে তাহলে এটা নির্বাচন হলো?
তিনি বলেন, এই নির্বাচনটি দিয়ে বহুত বিপদে পড়বে সরকার। সবচেয়ে বড় বিপদে পড়বে যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে তারা।
সারা দুনিয়ার কাছে নির্বাচন কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে আমি জানি না। ২০১৪ সালে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসছিল। ওই নির্বাচন কি খুব গ্রহণযোগ্য হয়েছিল? ওই নির্বাচনের কথা যখন তারা নিজেরা উচ্চারণ করতো, খুব কি আনন্দের সঙ্গে উচ্চারণ করত? এরকম একটা নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছেন ইউনূস সাহেব এবং ভাবতেছেন ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ নির্বাচন করে ফেলবেন!
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের জন্য অনুমতি দেওয়া কি অন্যরা মানবে- এমন প্রশ্নে মাসুদ কামাল বলেন, এটা বলতে পারব না। আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ আমি করিনি।
ওই ঝামেলায় আমাকে ফেলান কেন? এটা ইউনূস সাহেব বুঝবেন। উনি কী কারণে করছেন, কী করছেন, না করছেন- উনি বুঝবে এটা। নির্বাচনে উনি যে কাজটা করতে যাচ্ছে, এই কাজটা করার পর সারা দুনিয়ার মানুষ কিন্তু উনি যা বলবে তা কিন্তু হবে না। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কী বলছে যে আগে যা ছিল মানবাধিকার পরিস্থিতি এখন ওরকমই আছে।
এফপি/ টিএ