বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর হাফিজ উদ্দিন বলছেন, নির্বাচন দেওয়ায় (তারিখ ঘোষণা করায়) উপদেষ্টা পরিষদের কোনো কোনো সদস্যের মন খুবই খারাপ। কিছুদিন আগে প্রফেসর ইউনূস আমাদের নেতা তারেক রহমানের সাথে লন্ডনে বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে তিনি ওয়াদা করেছিলেন যে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেবেন। তিনি তার কথা রেখেছেন।
বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপির আয়োজনে পথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন এই কর্মসূচি পালন করেছে। এই বিজয় দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে আমরা অর্জন করেছি। গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে তাজাপ্রাণ ঝড়ে গিয়েছে। আমরা অনেকেই ধারণা করেছিলাম। শেখ হাসিনার ভয়াবহ মাফিয়াতন্ত্র যুগের পর যুগ ধরে চলবে। যে ধরনের অত্যাচার নির্যাতন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে করেছে এক কথায় অকল্পনীয়। পৃথিবীর অন্যতম নিষ্ঠুরতম শাসক ছিল শেখ হাসিনা। বহু মানুষকে গুম করেছে, খুন করেছে। হাজার হাজার কোটি কোটি ডলার বিদেশে পাচার করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রকৃত অর্থে আমরা একটি গণআন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম। এই আন্দোলনে বিএনপির ৫০০ কর্মী শহীদ হয়েছেন। এই আন্দোলনকে অর্থবহ করে তুলতে হবে।
যখন অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এক ধরনের উপদেষ্টা তারা বলার চেষ্টা করছে যে তারা ৫ বছরের জন্য এখানে এসেছে। কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেছে ইউনূস সাহেবের সরকার যতদিন দরকার চলুক। আর নির্বাচিত সরকারের কোনো প্রয়োজন নেই। তাদের কারও কারও মতে রাজনৈতিক দলসমূহ এই দেশকে ধ্বংস করেছে সুতরাং তাদের আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিএনপি জনগণের ভোটে ৪ বার ক্ষমতায় গিয়েছি। আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কখনই উদগ্রিব ছিলাম না। কিন্তু বাংলাদেশের মতো একটি দেশে যদি জনগণের নির্বাচিত সরকার না থাকে তাহলে এই দেশের উন্নয়ন হবে না। ১৯৭১ সালে মেজর জিয়াউর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা সারা দেশে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলাম।
এসময় রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পিএ/এসএন