জুলাই শহীদ ও গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের ম্যুরালে বিশেষ গ্রাফিতি অঙ্কনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সার্বিক দিকনির্দেশনায় এটি করা হচ্ছে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাসুদ রানা শিকদারের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসে জুলাই বিপ্লব ও গণঅভ্যুত্থান একটি অবিস্মরণীয় অধ্যায়। দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বীর শহীদ ও সংগ্রামী জনতার আত্মত্যাগ চিরকাল জাতির প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। এই মহিমান্বিত স্মৃতি অম্লান রাখাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, শিল্পকর্মের মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবের বীরত্ব, আত্মত্যাগ ও গণতান্ত্রিক চেতনা সেতুর স্থাপত্যশৈলীর সঙ্গে মিশে এক অনন্য ইতিহাসবাহী শিল্পরূপে রূপান্তরিত হচ্ছে। দেশের অন্যতম বৃহৎ অবকাঠামো পদ্মা সেতু সংলগ্ন ম্যুরালে অঙ্কিত এই গ্রাফিতি শুধু নান্দনিকতার সংযোজন নয়, বরং নতুন প্রজন্মের কাছে জাতির সংগ্রামী অতীতকে জীবন্তভাবে তুলে ধরার এক বিশেষ প্রয়াস।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল বুধবার সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ নিজে উপস্থিত থেকে গ্রাফিতি অঙ্কনের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন শেখ, প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ ফেরদাউস, সেতু কর্তৃপক্ষের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
সেখানে সেতু সচিব জানান, জুলাই বিপ্লবের চেতনা ও শহীদের আত্মত্যাগ জাতির চিরন্তন সম্পদ। এই গ্রাফিতি কাজ সেই গৌরবগাথা ইতিহাসকে শিল্পের মাধ্যমে ধারণ করেছে, যা ইতিহাস ও নান্দনিকতার এক অনন্য সংমিশ্রণ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এই উদ্যোগ শুধু শিল্পপ্রেমীদের নয়, বরং সমগ্র জাতির হৃদয়ে নতুন প্রেরণা জাগাবে এবং দেশের মুক্তি ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসকে আরও দৃঢ়ভাবে ধারণ করবে।
এসএন