ভারতে বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে আটকের পর বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে তামাবিল দিয়ে বাংলাদেশে ফিরেছেন ৫ নারীসহ ২২ বাংলাদেশি নাগরিক।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতীয় বিএসএফ ও বাংলাদেশের বিজিবির উপস্থিতিতে ওই ২২ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠায় ভারত।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ এসআই মো. শামীম মিয়া।
তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভারত থেকে ফেরা ২২ বাংলাদেশি নাগরিক বিভিন্ন সময় সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করে এবং বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ তাদেরকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ করেন।
অবশেষে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের কারাগারে ২২ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কারাভোগ শেষ হওয়ায় বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভারতীয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বিজিবি-বিএসএফের উপস্থিতিতে তাদেরকে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনে হস্তান্তর করে। দীর্ঘ কয়েক মাস জেল খেটে তারা শুক্রবার তামাবিল দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত আসেন।
তামাবিল ইমিগ্রেশন দিয়ে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন: বাংলাদেশের নেত্রকোনার পিজুস তালুকদার, শুভেন্দু সরকার তালুকদার, রনি তালুকদার, মিতু তালুকদার, পান্না তালুকদার, সরস্বতী মহানায়ক, স্বপ্ন মহানায়ক, সেঁজুতি মহানায়ক ঝিনুক, নারায়ণ মহানায়ক, প্রণয় সাহা, উদয় দাস, রাজশাহীর গোদাবাড়ি থানার মো. কাউসার আলী, মো. নুর আমিন, সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার মারজান হোসাইন, কোম্পানীগঞ্জ থানার মো. ইসলাম উদ্দিন, বিয়ানীবাজার থানার ইকরামুর রহমান সায়েম, সিলেট এয়ারপোর্ট থানার মোবারক হোসাইন, সুনামগঞ্জের মধ্যনগর থানার পপি রানী, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার শাহরিয়া আহমেদ শাওন, বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানার মো. হাসান আলী, যশোরের সদর থানার কাশফিয়াতুন নূর, জামালপুরের সরিষাবাড়ি থানার মো. শামীম।
তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ এসআই শামিম মিয়া জানান, দুই দেশের ইমিগ্রেশন পুলিশ এবং বিএসএফ ও বিজিবির মাধ্যমে ২২ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে পাঠানোর পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের করা হস্তান্তর করা হয়েছে।
কেএন/টিকে