গাজা উপত্যকা পুরোপুরি দখল করার ইসরায়েলের পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এক বিবৃতিতে ইরাকের মন্ত্রণালয় জানায়, এ পদক্ষেপ গাজায় নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ক্ষুধার নীতি, বাস্তুচ্যুত করা এবং গণহত্যার নীতির অংশ যা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হয় এবং এর জন্য আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা উচিত।
ইরাক ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার, বিশেষ করে জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে তাদের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আইনগত ও মানবিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে অবিলম্বে এসব লঙ্ঘন বন্ধের দাবি জানানো হয়।
টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর গাজা দখল পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। একই সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে থাকা বেসামরিক জনগণকে মানবিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ইসরায়েল যে পাঁচটি শর্ত দেবে, তার একটি তালিকা মন্ত্রিসভার অধিকাংশ সদস্য সমর্থন করেছেন। শর্তগুলো হলো
হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ
হামাসের হাতে থাকা ৫০ জিম্মিকে ফেরত আনা (যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত বলে ধারণা)
গাজা উপত্যকার নিরস্ত্রীকরণ
গাজায় ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ
হামাস বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নয়; বরং বিকল্প কোনো বেসামরিক সরকারের হাতে গাজার শাসন হস্তান্তর
পিএ/টিএ