দীর্ঘ ৩৫ বছরের বৈরিতা ভুলে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করল প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে এই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে দুই দেশের নেতারা একযোগে শান্তি চুক্তিতে সই করেন।
ট্রাম্প এটিকে ‘ঐতিহাসিক সাফল্য’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, ৩৫ বছর লড়াইয়ের পর তারা এখন বন্ধু এবং দীর্ঘ সময় বন্ধু হয়েই থাকবে।
চুক্তির অংশ হিসেবে আজারবাইজানকে নাখচিভান অঞ্চলে সরাসরি প্রবেশাধিকার এবং সেটি আর্মেনিয়ার সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রেখেই ‘ট্রাম্প রুট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যান্ড প্রস্পেরিটি’ নামে একটি বিশেষ ট্রানজিট করিডোর চালু হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও আজারবাইজানের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ওপর থেকে দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেয়া হয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ ও আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান ট্রাম্পের ভূমিকাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করারও ঘোষণা দেন।
দক্ষিণ ককেশাসের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশী দুই দেশ আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। দীর্ঘ সংঘাতের ইতিহাস গড়ে তুলেছে নাগোর্নো-কারাবাখ ইস্যুতে।
৮০'র দশকের শেষ থেকে শুরু হওয়া এই দ্বন্দ্ব বহুবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। তবে ২০২৩ সালে আজারবাইজান পুরো অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পরও উত্তেজনা অব্যাহত ছিল।
এমআর/টিএ