এএফসি অ-২০ নারী টুর্নামেন্টে আজ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৬-১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। কোরিয়ার মতো পরাশক্তির বিপক্ষে হার অনুমেয়ই ছিল। যদিও লাওস আগের ম্যাচে চীনকে ৮২ মিনিট পর্যন্ত গোলশুন্য রাখায় বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে ড্রয়ের আশা সঞ্চার হয়েছিল। কারণ বাংলাদেশ স্বাগতিক লাওসকে ১-৩ গোলে হারিয়েছিল।
সাধারণত ম্যাচ শেষ হওয়ার আধ ঘন্টার মধ্যেই বাফুফের মিডিয়া বিভাগ ম্যাচ পরবর্তী কোচের প্রতিক্রিয়া সরবারহ করে। গত দুই ম্যাচে হেড কোচ পিটার বাটলারের প্রতিক্রিয়া খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রদান করেছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ শেষে ঘন্টা দুই পার হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাঠায়নি বাফুফে। এই ম্যাচটি বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য অনেক শিক্ষণীয় বলেছিলেন কোচ পিটার বাটলার। ম্যাচে তার উপলব্ধি ও বাংলাদেশ কি শিক্ষা পেল সেটা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
দক্ষিণ কোরিয়া সব দিক থেকেই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। সেই দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের কোচ বাটলার তার ‘হাই লাইন’ ডিফেন্স তত্ত্বই প্রয়োগ করেছেন। লাওস ম্যাচে এক গোল হজমের পর তিনি আলোচনা-সমালোচনা সত্ত্বেও হাই লাইন রক্ষণেই অভ্যস্ত হবেন সেটাও বলেছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দলের বিপক্ষে হাই লাইন ডিফেন্স প্রয়োগযোগ্য নয় সেটা ম্যাচের শুরু থেকেই স্পষ্ট হয়েছে।
বাংলাদেশের গোলরক্ষক স্বর্ণা অধিকাংশ সময় বক্সের সামনে এসে বল ক্লিয়ার কিংবা আক্রমণ প্রতিহিত করেছেন। ডিফেন্ডাররা অসংখ্যবার কোরিয়ার ফুটবলারদের গতি ও স্কিলের কাছে পরাস্ত হয়েছেন যেগুলো গোল হজমের সমুহ সম্ভাবনা ছিল। হাই-লাইন ডিফেন্স ছাড়াও এই ম্যাচে বাটলারের কিছু কৌশল ও পদক্ষেপ প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
বড় ব্যবধানে হারলেও ম্যাচের পর মিডিয়ার সামনে আসা আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিয়মই। যদিও এএফসি অ-২০ নারী টুর্নামেন্টের বাইলজে বাছাই পর্বে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন বাধ্যতামূলক নয়। লাওসে টুর্নামেন্ট কাভার করতে বাংলাদেশের কোনো সাংবাদিক যাননি। বাফুফের মিডিয়া বিভাগের বক্তব্যই দেশের সাংবাদিকরা প্রচার করে। কোরিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের পর কোচ প্রতিক্রিয়া দেননি নাকি বাফুফে মিডিয়া প্রতিক্রিয়া নেয়নি বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া যায়নি। এজন্য অ-২০ দলের মিডিয়া ম্যানেজার খালিদ মাহমুদ নওমীর সঙ্গে যোগাযোগ করলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
বৃটিশ কোচ পিটার বাটলার প্রায় সময়ই বাংলাদেশের নানা বিষয় নিয়ে পেশাদারিত্ব ও আধুনিকতার প্রশ্ন তোলেন। অথচ তিনি সেটার চর্চা করেন না। লাওসের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ার সময় কন্টিনজেন্টের সবাই ট্রাভেল কিট পরিধান করলেও তিনি ছিলেন সাধারণ পোষাকে। ফলে কোনো গ্রুপ ছবিতে তাকে পাওয়া যায়নি। আজ বড় হারের পর কোচের বক্তব্য না পাওয়া নন স্পোর্টিং ও অপেশাদার আচরণ হিসেবেই আলোচনা হচ্ছে ফুটবলাঙ্গনে।
গতকাল দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন গণমাধ্যমের প্রত্যাশা ছিল বাটলার অথবা কোনো ফুটবলারের বক্তব্যের। অথচ কাল বাফুফের মিডিয়া বিভাগ সহকারী কোচ মাহমুদা আক্তার অনন্যার বক্তব্য সরবারহ করেছে। তিমুরলেস্তের ম্যাচের আগের দিন দলের কারো বক্তব্য তো দূরের কথা হোটেলের জিম, সুইমিংয়ের কোনো ছবি-ফুটেজ দেয়নি বাফুফে। দল পরিচালনার পাশাপাশি মিডিয়া নিয়েও বাংলাদেশ নারী ও পুরুষ উভয় দলের হেড কোচের অতিরিক্ত তদারকি চলমান।
এসএন