ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে গতকাল (রোববার) দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব ১৯ দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৬৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। জুনিয়র টাইগারদের হয়ে ৯৫ রান করেন রিজান হোসেন।
এই মিডল অর্ডার ব্যাটার অল্পের জন্য পাননি সেঞ্চুরি। রান আউটে কাটা পড়েন রিজান সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৫ রানের দূরত্বে। পরে বল হাতেও নিজের প্রতিভার জানান দেন তিনি। আফ্রিকার ব্যাটারদের বিপক্ষে একাই শিকার করেন ৫ উইকেট। রিজানের এমন পারফর্মম্যান্সে ম্যাচ জিততে সহজ হয়ে যায় বাংলাদেশ দলের।
জয়ের পর জিম্বাবুয়ে থেকে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন নিজের অনুভূতির কথা। তবে আক্ষেপ করে বলছিলেন সেঞ্চুরি মিসের কথা। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ আক্ষেপ তো আছেই। সেঞ্চুরি করতে পারলে ভালো লাগতো। আসলে দেখেন আমার রান আউটটা কিন্তু হয়নি। প্রযুক্তি যদি থাকতো তাহলে হয়তো সেঞ্চুরিটি হতে পারতো। এ কারণে ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পরে বেশি খারাপ লাগতেছিল।’
যুবাদের ইতিহাসে এর আগে একজন ক্রিকেটার সেঞ্চুরি এবং ৫ উইকেট সংগ্রহ করেছেন এক ম্যাচ। রিজানের সামনে সুযোগ ছিল দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়ার। এ নিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘আমি আসলে ওরকম কিছু জানতাম না, আপনার কাছে শুনলাম আর কি। যদি আসলে করতে পারতাম তাহলে একটা এচিভমেন্ট হতো, ভালো লাগাটা কাজ করতো।’
ভবিষ্যতে জাতীয় দলের হয়ে খেলার কথা জানালেন রিজান। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই জাতীয় দলের হয়ে খেলা তো প্রত্যেকটা ক্রিকেটারের স্বপ্ন থাকে, আমারও তেমনি স্বপ্ন আছে। আর সামনে আমাদের বিশ্বকাপ রয়েছে। এই মাঠে খেলা হবে তো যে কারণে একটু আত্মবিশ্বাসটা বেশি থাকছে। চেষ্টা থাকবে ভালো কিছু করার।’
ফাইনালে ভালো করেও আফসোস রয়েছে রিজানের। তিনি বলেন, ‘যা খেলেছি আরও ভালো করার ইচ্ছা ছিল। ফাইনালটা ভালো করেছি, তবে এর আগে কয়েকটি ম্যাচে যদি ভালো খেলতে পারতাম তাহলে আরও ভালো লাগতো। আর দলীয় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সেটা তো অবশ্যই ভালো লাগতেছে। সামনে ইংল্যান্ড সফর রয়েছে, সেখানেও ভালো করার ইচ্ছা রয়েছে। কন্ডিশন অনুযায়ী খেলার চেষ্টা থাকবে।’