জনগণকে আবার জাগিয়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয়তাবাদী যুবদল-জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল-জাতীয়তাবাদী ছাত্র দল’ এই তিন সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে ‘যুব সমাবেশের প্রত্যাশা ও বিএনপির পরিকল্পনা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যেটা তিন বছরে করেছিলেন, সেই রকম একটা নির্দেশনা তৈরি করে আমরা কী এই দেশটাকে সঠিক অর্থে সামনের দিকে নিয়ে যেতে পারব না। কী পারবেন না আপনারা? পারতে হবে।
ফখরুল বলেন, দরকার হলে গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-ঘাটে, খালের পাড়ে, খামারে-বন্দরে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে মানুষকে উজ্জীবিত করতে হবে। মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে আবার... এটাই হবে আমাদের কাজ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা যদি জনগণের মন জয় করে তাদের আমাদের পক্ষে আনতে পারি, তাহলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে সরকার গঠিত হলে তার প্রধান কাজ হবে ৩১ দফা বাস্তবায়ন।
অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশ এক যুগ সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। আমাদের যুবসমাজ ও তারুণ্যকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা বদলে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দিকে এগোতে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আপনাদের সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে যে এই কাজে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলকে বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। এই তরুণদেরই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হবে। রাজনৈতিক প্রস্তুতি কীভাবে নিতে হবে, তার জন্য আপনারা নিজেদেরকে প্রস্তুত করুন।
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট(এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে বিএনপি সোচ্চার হয়েছে, অনেক অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে। চাঁদাবাজি আর করতে দেওয়া হবে না— এই হোক আন্তর্জাতিক যুব দিবসে ‘নতুন বাংলাদেশ’ এর শপথ।
এফপি/এসএন