আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে ঘোষিত সময়ে নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে জাতীয় যুব সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘নির্বাচনের ডেট ঘোষণা করা হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। যদি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হয়, আমার যে ভাইয়েরা শহীদ হয়েছিল, রক্ত দিয়েছিল সংস্কারের জন্য, তাহলে কবরে গিয়ে তাদের ফেরত দিতে হবে এই সরকারকে।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমার যে ভাইয়ের হাতটা চলে গিয়েছিল, যদি সংস্কারকাজ শেষ না করে নির্বাচন হয়, তাহলে এই সরকারকে আমার ভাইয়ের হাতটা ফিরিয়ে দিতে হবে। যে মায়ের বুক খালি হয়েছিল, ওই মায়ের বুকের সন্তানকে ফেরত দিতে হবে।’
এ সময় যুব সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
বিএনপি এবং অন্য রাজনৈতিক দলগুলো ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। জামায়াতও এই টাইমফ্রেমে নির্বাচন আয়োজনে তাদের আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে। তবে এনসিপি বরাবরই বলে এসেছে, সংস্কার এবং জুলাই গণহত্যার বিচারের আগে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তাদের। এবার সে প্রশ্নটাই জোরেশোরে রেখেছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
তার ভাষায়, ‘একই সংস্কৃতির ডামাডোলে, একই ফ্যাসিবাদী সংবিধানে, একই সিস্টেমের মধ্য দিয়ে আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। তাহলে এতগুলো মানুষ শহীদ হওয়ার প্রয়োজন কী ছিল? এতগুলো মানুষ আহত হওয়ার প্রয়োজন কী ছিল?’
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জাতীয় যুবশক্তির সদস্যসচিব জাহেদুল ইসলাম বক্তব্য দেন।
কেএন/এসএন